নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৬শে এপ্রিল করোনা কালের রেকর্ড ছাড়িয়ে দৈনিক সংক্রমন ৫৭৮ ছুঁয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ক্রমান্বয়ে তা কমতে শুরু করে। দ্য খড়গপুর পোষ্ট তখনই সতর্ক করেছিল এই কমায় স্বস্তির কোনও কারন নেই। কারন এইভাবে দ্রুত হারে করোনার গ্রাফ নামতে পারেনা। নামার একমাত্র কারণ পরীক্ষার পরিমান কমে যাওয়া। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কিটসে সঙ্কট থাকায় এই পরীক্ষা কমে যায়। ঘটনা যে সত্যি তারই প্রমাণ মিলল ৫ই মের জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্টে। দেখা গেল পরীক্ষার পরিমান বাড়াতেই পজিটিভের সংখ্যা এক লাফে চলে গেল ৫৭৭ জনে। ৯ দিনের মাথায় মাত্র ১জন কম পড়ল ২৬ এপ্রিলের রেকর্ড ছুঁতে।
এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট মোতাবেক আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ৩৪৫, আ্যন্টিজেন ১৯৭, ট্রুনাট থেকে ৩৫ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সেই তুলনায় খড়গপুরে এদিন সংক্রমন কিছুটা কম কারন রেল বা খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল যেখানে ব্যাপক হারে নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় তা করা হয়নি। বিশেষ করে আরটি/পিসিআর ঘাটতি এখনও পূরণ করা সম্ভব হয়নি। যাইহোক খড়গপুর শহরে এদিন ৮০ জনের কাছাকাছি সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এরমধ্যে রেলসূত্রে ২৮ ও আইআইটির পাঠানো নমুনা থেকে ১৩ জন আক্রান্ত। রেলের বিভিন্ন আবাসন ছাড়াও এদিনও ইন্দা এলাকা থেকেই সর্বাধিক আক্রান্ত মিলছে ইন্দা,শরৎ পল্লী, বামুনপাড়া সহ মোট এই এলাকায় আক্রান্ত ৭ জন। ঢেকিয়া সহ মালঞ্চ এলাকায় ৬ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। কুমারপাড়া এবং কাননবাগান এলাকা সহ খরিদায় ৪ জন, শ্রীকৃষ্ণপুর ও চাঁদমারি এলাকায় ৪ জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। তালবাগিচাতেও নতুন করে আক্রান্ত ৪ জন। পাঁচবেড়িয়া, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল আবাসনে ৩জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। দেবলপুর সুকান্তপল্লী, হিজলি কো-অপারেটিভ, ট্রাফিক, ডিভিসি মায়াপুর, রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় ২জন করে এবং ছোটটেংরা, নিমপুরা. সুভাষপল্লী, ঝাপেটাপুর,নিউ সেটেলমেন্ট ,রেলবাগান এলাকায়, মিরপুর বুলবুলচটি. ঝুলি , ডেভলপমেন্ট. পাঁচবেড়িয়া, ভগবানপুর, কৌশল্যা, মথুরাকাটি রামনগর এলাকায় নূন্যতম ১জন করে আক্রান্ত। ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি এমন আরও ৫জন আক্রান্ত রয়েছেন খড়গপুরে।
খড়গপুর গ্রামীনের খেলাড় প্রতাপপুর, রাখাল গেড়িয়া. সমারাই পুর, সাহচক, চাঙ্গুয়াল, গেড়িয়াশুলি, নগরায় ৪আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এদিন রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত পাওয়া গেছে মেদিনীপুর শহরে। প্রায় ১১০ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে শহর থেকেই। শহরের শরৎপল্লী থেকে সর্বাধিক ৯ জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। নজরগঞ্জ এলাকায় পাওয়া গেছে ৭জন। হবিবপুরে ৬, সিপাহী বাজারে ৫ এবং মির্জা বাজারে ৪ আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়া মিত্র কম্পাউন্ড, বার্জ টাউন, বিধাননগর, অরবিন্দ নগর, মধুসূদন নগর থেকে ২ জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। আক্রান্ত মিলেছে বৈশাখী পল্লী, তোলাপাড়া, জগন্নাথ মন্দির, গোলাপী চক, কুইকোটা, নতুন বাজার, সুকান্ত পল্লী. বল্লভপুর, শেখ পুরা, কোত বাজার.কেরানিতলা নবীনা বাগ, তাঁতিগেড়িয়া.দেশবন্ধু নগর, বিদ্যাসাগর পল্লী, রবীন্দ্র নগর, স্টেশন রোড, হসপিটাল রোড,রাঙ্গামাটি, মিঞা বাজার, অশোক নগর, সেন্ট্রাল ল্যাব।
মির্জা মহল্লা থেকে। শহরের নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি এমন ৩০ জন রয়েছেন।
গ্রামীন মেদিনীপুরের ফুলপাহাড়ি, গোবরাশোল(৪), ছোটবাড়ুয়া(২), মাধবচক, খরঙ্গডিহি, বানপুরা,চুয়াশোল, ছেঁড়াবনি, ঝরিয়া, নেপুরা, গুড়গুড়িপাল থেকে ১৫জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
.
গড়াবেতা থানার গড়বেতা সদরে ৯ জন এবং দ্বারিগেড়িয়াতে ৪ আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। লাপুরিয়া, দুর্লভগঞ্জ এলাকায় ৩ জন করে এবং অপর্না পল্লী, চড়কাডাঙ্গা,বরমপুরা ও বড়মুড়ায় ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এছাড়াও আক্রান্ত মিলেছে সরবেড়িয়া, সাতবাঁকুড়া. কিয়াবনি, ডাবচা, খুনগেড়িয়া ময়তা, শালডাংরা, তালডাংরা, মালডাঙ্গা এলাকায়। গোয়ালতোড় থানার পাটাশোল দেবগ্রাম, গোয়ালতোড় সদর থেকেমোট ৪ আক্রান্ত পাওয়া গেছে। শালবনির শালবনি সদরেই পাওয়া গেছে ৪ আক্রান্ত। এছাড়া কোবরা ক্যাম্প থেকে ২, ট্যাঁকশাল কলোনীতে সিআইএসফ জওয়ান সহ ২জনের সংক্রমন পাওয়া গেছে। কেশপুরে আক্রান্ত ২ জন।
খড়গপুর মহকুমার ডেবরায় আক্রান্ত ২৫ জন কিন্তু কারও সুনির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখিত হয়নি। দেখানো হয়েছে ডেবরা, পশ্চিম মেদিনীপুর বলে। বেলদা থানার রামা তুতরাঙায় ৩জন , শুশিন্দা হেমচন্দ্র, বেলদা, চৌগেড়িয়া, বাখরাবাদ, সাবড়ায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে। কেশিয়াড়ী থানা এলাকার আক্রান্তরা হলেন বাঁচাতুল, গগনেশ্বর, কেশিয়াড়ী কাঁটাগেড়িয়া, আমলাসাই ভসরা, আমদা, তিলাবনী মহিষামুড়ার বাসিন্দা। মোহনপুরের নিলদায় আক্রান্ত ১ জন।
সবংয়ের গৌরবাড় ও শিতলদা থেকে ৩জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। সাউথপাড়ায় ২জন ছাড়াও আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে রুইনান, হারনান, বানহালা. হরিরহাট, বাগবেড়িয়া, খাড়পাড়া, বেনেদীঘি, রাইপাড়া এলাকায়। পিংলা থানার বাজাবেড়িয়া ৩ আক্রান্ত ছাড়াও গঙ্গাদাসচক, ডাঙরা,
মুন্ডুমারি, মালিগ্রাম, ডাঙলসা থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
এদিন ঘাটাল মহকুমায় ফের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১০০ছাড়িয়েছে। চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই থেকেই ৮ আক্রান্ত মিলেছে। চন্দ্রকোনা সদরে এবং বাবুরবেড় ২জন করে ছাড়াও আক্রান্ত পাওয়া গেছে গোকুলগঞ্জ, জয়ন্তীপুর দক্ষিণ বাজার. বাবুরবেড় ২,গুচিতলা. রামজীবনপুর. ফতেগঞ্জ বাঁকাটি,, গোবিন্দপুর, মাধবপুর, জাড়া, হীরাধরপুর, বাগছড়ি, বানগেড়িয়াতে। ঘাটালের কুশপাতায় ভয়াবহ সংক্রমন। খালি এখান থেকেই পাওয়া গেছে ১২,জন। কোন্নগরে ৬জন, চাউলি ও কুশমানে ৫জন করে, গম্ভীর নগর, রত্নেশ্বর বাটিতে ৩জন করে আক্রান্ত। শালিকা, নিমতলা, নিশ্চিন্দিপুর, মনসুখা, মোহনপুর, ও খড়ারে ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে কাতান, বিরসিংহ, প্রতাপপুর, নিশ্চিন্তপুর, এলআইসি অফিস, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে,আলমগঞ্জ, , হরিসিংপুর, পজয়নগর, অজবনগর রথীপুর, কুরান, সলঝাটি, সুলতানপুর এলাকায়।
দাসপুরের মহব্বতপুরে আক্রান্ত ৩জন, চাঁইপাট, সিতাপুর, নৈহাটি,সাহাচক, আরিত বাসুদেবপুরে ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ক্ষেপুত,
জগন্নাথপুর,মাগুরিয়া, নিশ্চিন্তপুর, রাধাকান্তপুর, দরি অযোধ্যা, কলাইকুন্ডু, গৌরা,ব্রাহ্মণ বসান রঘুনাথপুর সাগরপুর বাসুদেবপুর সীতাকুন্ড দাসপুর পাইকারি মেজর পাঁচবেড়িয়া. দুবরাজপুর, নিমতলা, কমলপুর, বালুরি, জয়রামচক,পাইকান কলমিজোড়, দাসপুর হাসপাতাল, পার্বতীপুর, করুণাচক, রানিচক, খঞ্জপুর থেকে। জেলার যে সমস্ত এলাকায় আক্রান্ত বলা হচ্ছে তা আদতে একটি করোনা মানচিত্র বোঝানোর জন্য। আক্রান্তের সংখ্যা ওই সব এলাকায় উল্লেখিত সংখ্যার চাইতে বেশি হতে পারে কিন্তু কখনও কম নয়।