নিজস্ব সংবাদদাতা: মূখ্যমন্ত্রী বলেছেন সরকার ভগবান নয়, মূখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই দু’মাস করোনা সংক্রমন বাড়বে ফলত: বোঝাই যাচ্ছিল সরকারের লাগামের বাইরে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রন। ঘটলও তাই, গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে ১,৮৯৪ জন আক্রান্তর রেকর্ড বলে দিচ্ছে ভয়াবহ সংক্রমনের পড়তে চলেছে রাজ্য। যে গতিতে সংক্রমন হচ্ছে তাতে বলতে বাধা নেই যে, জুলাই মাসেই পৌনে লক্ষ করোনা আক্রান্তের সংখ্যার পথে বাংলা। শুধু তাই নয় ক্রমশ ডিসচার্জ রেট বা সুস্থতার হার কমছে আর সব মিলিয়ে বাংলা বলতে শুরু করেছে এবার ভয় লাগছে।
ভয় লাগারই কারন বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬৯০ জন যা শুক্রবার হয়েছে ১,৮৯৪ জন। শুক্রবারের সংখ্যা যোগ করলে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৮,০১১। হাতে মাস ফুরোতে ১২দিন। এই ১২দিন যদি বর্তমান বৃদ্ধির হারে গড়ে ৩ হাজার করেও বাড়ে তবে মাসের শেষ দিন ফুরালে ৭৫ হাজারে পৌঁছে যাবে রাজ্য।
অন্য দিকে শুক্রবার ২৬ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা হল ১০৪৯। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড ৮৩৮ জন করোনা আক্রান্ত সেরে উঠেছেন। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনামুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা হল ২২,২৫৩ জন। এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসাধীন ১৪,৭০৯ জন। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ডিসচার্জ রেট আরও কমেছে। এই মুহূর্তে তা ৫৮.৫৮। কিছুদিন আগেই এই হার ছিল ৬৩%।
ভারতের করোনা আক্রান্তের ভয়াবহ শহরের তালিকায় চলে আসছে কলকাতার নাম। শুক্রবারও কলকাতায় ৫০০-র বেশি করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে। এদিন কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৬৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৪৩ জন ও হাওড়ায় ১৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মোট আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকা থেকেই।
মৃত্যুর নিরিখেও তাই। শুক্রবার মৃতদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে কলকাতায়। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। হাওড়ায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি
উত্তরবঙ্গেও সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক। দক্ষিণ দিনাজপুরে ৮৯ জন, মালদায় ৮৮ জন ও দার্জিলিংয়ে ৭৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। রাজ্যের বেশ কয়েকটি শহরে নতুন করে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। অলিখিত ভাবেও বহু জায়গাতে পুলিশ লকডাউন বহাল করছে বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু কোনও কিছুতেই যে কিছু হচ্ছেনা তার প্রমান সংক্রমনের এই বাড়বাড়ন্ত।