নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা শুধু নিজেই নয় অপর জেলাগুলির জন্য বিপদ জনক হয়ে উঠেছে। এমনিতেই রাজ্যের মধ্যে আক্রান্ত আর মৃতের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী। তার ওপর কলকাতা ফেরৎ ব্যক্তিদের হাত ধরেও জেলাতে চলে আসছে করোনা । এপ্রিলের শেষে কলকাতা ফেরৎ নয়াগ্রামের দুই ভাইয়ের আক্রান্ত হওয়ার সুবাদেই এভাবেই সবুজ ঝাড়গ্রামের নাম উঠে গেছিল। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল বাঁকুড়ার ক্ষেত্রেও। কলকাতার করোনা লাল পেনে এবার নাম কাটা গেল এবার ‘গ্রীন জোন’ বা সবুজ বাঁকুড়া জেলারও। সবুজ জেলার মত নিষ্কলঙ্ক থাকা হলনা বাঁকুড়ার।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২২মে ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ রিপোর্ট বাঁকুড়ার ১৫ বছরের এক কিশোরের করোনা রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গেছে বলেই জানা গেছে। গত ১১ মে, সে কলকাতা থেকে পাত্রসায়রে ফিরেছিল। ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ঠিকানায় পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক কেন্দ্রের রেফারেন্স উল্লেখ করা দেখানো হচ্ছে ১৩ মে ওই কিশোর অসুস্থ বোধ করায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় যা কিনা ১৬ মে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পৌঁছায়। ২১ মে নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং ২২ মে ওই কিশোরের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার পরই তাকে পাত্রসায়র থেকে দুর্গাপুরে করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে শুধুই ঝাড়গ্রাম বা বাঁকুড়া নয় কলকাতা থেকে ফিরে করোনা আক্রান্তের ঘটনা একাধিক জেলাতেই ঘটছে। কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লক তথা বেলদা থানার অন্তর্গত বামনসাইতে যে গাড়ির চালকের করোনা ধরা পড়েছিল তিনিও কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। তার মাত্র কদিন আগেই কলকাতা পুলিশের এক কর্মী এই জেলারই চন্দ্রকোনার বাড়িতে এসে একটি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তারও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এই একই ঘটনা এর আগে হুগলি, বর্ধমানে দেখা গেছে। বাস্তবিকই কলকাতা এখন করোনার হট বেড বা এপিসেন্টার হয়ে রয়েছে।
শুক্রবার নতুন করে রাজ্যে যে ১৩৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে তাঁদের মধ্যে ৬০ জনই কলকাতার বাসিন্দা। হাওড়ার ২৬, উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ জন। অর্থাৎ কলকাতা আর তার লাগোয়া এলাকাতেই ১০১জন। অন্যদিকে এদিন রাজ্যে মৃত্যু হওয়া ৬ জনের মধ্যে কলকাতারই ৪ জন। প্রায় দিনেরই রিপোর্টে আক্রান্ত ও মৃত্যু মিলিয়ে আঙুল সেই কলকাতার দিকেই।