নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: “যারাই দোষী, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমি করবই।“ শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনটাই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।“
নির্বাচন কমিশনের ধার্য করা ৭২ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হতেই বুধবার শীতলকুচিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মাথাভাঙা যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে তৈরি হয় শহীদ মঞ্চ। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং মৃত মনিরুজ্জামান মিঞার ৪৫ দিনের সন্তানকে কোলেও তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মনের মামা ও দাদুও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এদিন।
মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, গুলি কাণ্ডের পর দিনই আমি মাথাভাঙা আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি কারণ এখানে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পাশাপাশি তিনি বলেন, “এই ঘটনায় কাউকে ছাড়া হবে না, দোষী ব্যক্তি যত বড়ই হোক না কেন তার শাস্তি হবে।” এরই মাঝে আবার কমিশনকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশি কিছু বলতে পারবোনা নয়তো আবার কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেবে। ভোটের পরে আবার আমি আসবো।‘ সেইসঙ্গেই এদিন নিহতদের পরিবারের লোকেদের চাহিদা পূরনেরও আশ্বাস দেন তৃনমুল সুপ্রিমো এবং জেলা নেতৃত্বদের বলেন, শহীদের জন্য ৫ টি বেদি তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত। শনিবার চতুর্থ দফার ভোটের সকালে শীতলকুচিতে ৫/১২৬ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঝরে যায় চার চারটি তরতাজা প্রাণ; মৃতরা হলেন হামিদুল মিঞা, ছামিউল হক, মনিরুজ্জামান মিঞা, নুর আলম মিঞা। অন্যদিকে এই দিনই সকাল নাগাদ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত হয় ১৮ বছরের যুবক আনন্দ বর্মন। এরপর কোচবিহারে মৃতদের পরিবারে সাথে দেখা করতে আসার কথা ছিল তৃনমুল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু, সেদিন রাতেই নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। আর মেয়াদ শেষ হতেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এসে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।