নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার খিল পড়ল গোটা দেশেই, আর আলাদা করে কোনও শহর নয় সারাদেশ জুড়েই আগামী একুশ দিনের জন্য সামগ্রিক (কমপ্লিট )লকডাউন ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী একুশদিন একেবারেই বাড়ি থেকে বেরোনোর কথা ভুলে গিয়ে দরজায় খিল দিয়ে বসে থাকতে অনুরোধ করলেন দেশবাসীকে। এমনিতেই বিভিন্ন রাজ্যেই লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল ইতোপূর্বে, তাই গোটা দেশের নজর ছিল প্রধানমন্ত্রী আজ কি বলেন তাই নিয়ে। বিশেষজ্ঞ মহলের অনুমান মিলিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা করলেন।
ভাষণের শুরুতেই আজ প্রধানমন্ত্রী জনতা কারফিউ সফল করার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ দেন। তবে যেভাবে কিছু মানুষ এই জনতা কারফিউর মধ্যেও নির্দেশ অমান্য করে ঘুরে বেড়িয়েছেন তার নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান এই মুহূর্তে লকডাউনই একমাত্র উপায়। প্রধানামন্ত্রী ও জানান এই লকডাউন একপ্রকার কারফিউই। জনতা কারফিউর থেকেও শক্ত কারফিউ। তবে আশার কথা প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ চালু রাখার সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান বিশ্বের প্রতিটি আক্রান্ত দেশ থেকে শিক্ষা নিয়েছে দেশ।এবং তার থেকে একমাত্র উপায় যা বেরিয়েছে তা হল লকডাউন। দেশের প্রতিটি মানুষকে ঘরের বাইরে লক্ষনরেখা এবং তালা লাগিয়ে বাড়িতে বসে থাকতে। করোনা সংক্রমণ এড়ানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কিছু হতে পারেনা। ডাক্তাররাও জানাচ্ছেন এই একুশদিন করোনা ভাইরাসের সাইকেল ভাঙার জন্য খুব জরুরি হয়ে গেল। রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ চালু রাখা হবে।তিনি প্রতিটি রাজ্যকে স্বাস্থ্য পরিসেবাকে প্রথম গুরুত্ব দিতে অনুরোধ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশে মেডিক্যাল এবং প্যারা মেডিক্যাল ট্রেনিং এর ওপর জোর দেন তিনি।
এর পাশাপাশি তিনি পনের হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন তিনি। এই টাকায় মাস্ক, স্যানিটাইজার, ভেন্টিলেটর, আইসলেশন বেড প্রভৃতি কেনা হবে। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে বেসরকারি সংস্থাগুলি এগিয়ে এসেছে তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যে সমস্ত ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, সংবাদ সংস্থার কর্মী, সাফাই কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন তার জন্য ধন্যবাদ দেন। তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়ার কথা বলেন। তবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বেরোনোর কথাই তিনি বলেন।