নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা বদলি হবেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এবার যা হল তা রীতিমত বিস্ময়ের। বদলি করা হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘরেই। যাতে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আদৌ ভরসা রাখতে পারছে কিনা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন!
সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা–সহ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সে সময় সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি–সহ অন্য বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে একই দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বদলি করা উচিত। নিয়ম অনুযায়ী এ ধরণের সরকারি চাকরিতে ৩ বছর অন্তর বদলি করা হয়। কিন্তু এই তিনজনের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম লাগু হয়নি কেন?এবিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা।তারপরই সোমবার অফিসারদের বদলির খবর শোনা যায়। অভিযোগ ও প্রশ্ন ওঠার পরই নির্বাচন কমিশন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। শীঘ্রই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। এমন সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তিন আধিকারিককে বদলি করা হল। সোমবার আচমকা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আচমকা এই বদলি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। কারণ এর আগে এভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর থেকে কখনও কোনও অফিসারকে সরানো হয়নি।
শৈবাল বর্মণ, অনামিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য— রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই তিন ডেপুটি সিইও–কে এদিন বদলি করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইভিএম এবং ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন অনামিকা চট্টোপাধ্যায়। অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্য দেখতেন ভোটের প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম দেখতেন। মিডিয়া সেলও সামলাতেন অমিতজ্যোতি।
এই তিন আধিকারিকের মধ্যে একজন আইএএস অফিসার এবং অন্য দু’জন ডবলুবিসিএস অফিসার। ওয়াকিবহল মহলের দাবি, এমন তিন অফিসারকে সরিয়ে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মুখ্য নির্বাচন কমিশন।