নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎকে ঠেকাতে, কাজের নিরাপত্তা ইত্যাদির দাবিতে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের কলেজ গুলির অস্থায়ী কর্মচারীরা। তাকেই আরও জোরদার করতে রাজ্য ব্যাপী কনভেনশন করতে চলেছে অস্থায়ী কলেজ কর্মীদের রাজ্য সংগঠন। আগামী ১৬ই জানুয়ারি কলকাতার আশুতোষ কলেজে সারাদিন ব্যাপী আলাপ আলোচনার পরই তাঁদের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংগঠনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ” গত ডিসেম্বর মাসে আমরা একটি আলোচনা করেছিলাম রাসবিহারীতে। সেই আলোচনায়ায় সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্য ব্যাপী একটি কনভেনশন করা হবে যেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি সমাজের অন্যান্য অংশের প্রতিনিধি যেমন, শিক্ষক অধ্যাপক অধ্যক্ষ বুদ্ধিজীবীদেরও আমরা আমন্ত্রন করেছি। সবার পরামর্শ নিয়েই আমরা আমাদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে চাই। আমরা চাই ২০২০ হোক অস্থায়ী কলেজ কর্মীদের মুক্তির বছর।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংগঠনের দাবি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষক কর্মচারীরা বারংবার আন্দোলন করেছেন, সরকার নাস্তানাবুদ হয়েছেন অথচ কলেজ অস্থায়ী কর্মচারীরা এ অবধি কোনও আন্দোলনে যায়নি যাতে সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে। কারন তাঁদের আশাছিল সরকার নিজে থেকেই তাঁদের অসুবিধা উপলব্ধি করবেন কিন্তু দুর্ভাগ্যর বিষয় সেটা হয়নি তাই তাঁদের পথে নামার কথা ভাবতে হল ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তাঁদের কথায়, ” সামান্য পারিশ্রমিকে কাজ করেও না আছে কাজের নিরাপত্তা, না আছে কাজের স্বীকৃতি, না আছে কোন নির্দিষ্ট বেতন পরিকাঠামো। বলাবাহুল্য এই সকল কর্মচারী বিহীন কলেজ অচল তা একবাক্যে কলেজ কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিলেও তাদের ভবিষ্যত নিয়ে আজও সবাই উদাস। দিশেহারার মতো এই সকল কর্মচারীদের দিন অতিবাহিত হলেও আজো কেউ ভাবলো না তাদের কথা। উচ্চ শিক্ষার প্রানকেন্দ্র মহাবিদ্যালয় গুলো যখন কর্মীর অভাবে ধুঁকছিল ঠিক তখনই কলেজকে স্বাভাবিক রাখতে বিগত বাম আমল থেকেই কলেজ পরিচালন সমিতির অনুমোদন ও অনুমতিক্রমে নিয়োগ প্রসেসকে মান্যতা দিয়ে এই সকল কর্মচারীদের নিয়োগ করা হয়েছিল।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংগঠনের ওই মুখপাত্র বলেন, ”কলেজের ক্লাস নেওয়া ব্যতীত যাবতীয় কাজ এই সকল কর্মচারীদের করতে হয়। বছরের পর বছর কেউ ১০বা কেউ ১৫ বছর থেকে লাগাতার কাজ করে এলেও আজও তারা নিরাশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ সহ সরকারের এদের নিয়ে না আছে কোন সদর্থক চিন্তাভাবনা। এই পরিস্থিতিই আমাদের বাধ্য করল রাস্তায় নামার কথা ভাবতে। আগামী ১৬ই জানুয়ারি সেই পথের দিশাই ঠিক হবে।”