সেই কলেজ ছাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাবা জবকার্ডে পাওয়া ১০০ দিনের কাজ করে পাওয়া টাকার ভাগ বা কাটমানি দিতে চায়নি তাই মেয়েকে দেওয়া হচ্ছেনা অবিবাহিতার প্রমান পত্র। আর সেই কারনে মেয়ে আবেদন করতে পারছেনা কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসখালির বাসিন্দা এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ওই সার্টিফিকেটের জন্য রেকমেন্ডেশন লেটার দিতে তাঁর কাছে কাটমানি দাবি করছেন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য। এদিকে তৃণমূল পরিচালিত রসখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলে এলাকায় ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিষ্ণুপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির রসখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের দমদমা গ্রামের বাসিন্দা পল্লবী নস্কর কলেজের বাংলা অনার্সের ছাত্রী। কলেজে কন্যাশ্রীর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে তাঁর অবিবাহিতের সার্টিফিকেট চান। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে সার্টিফিকেট চাইলে তাঁকে গ্রাম সদস্যের রেকমেন্ডেশন লেটার আনতে বলা হয়। আর তা চাইতে গেলে গ্রাম সদস্য দীপঙ্কর নস্কর তাঁর কাছে বাবা-মায়ের জব কার্ডের টাকার কমিশন দাবি করেন। পঞ্চায়েত প্রধান তপতী বাছারকে বিষয়টি জানালে তিনিও ওই টাকা পঞ্চায়েত সদস্যকে দিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন বলে ছাত্রীর অভিযোগ। এখনও ওই রেকমেন্ডেশন লেটার না পাওয়ায় স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও জেলাশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ছাত্রীটি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে, অভিযুক্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্কর জানান, সরকারি এই প্রকল্পের ওপর মিথ্যে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করে কালি ছেটানোর চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আসল ঘটনা হল গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ছাত্রী পল্লবী নস্কর এবং তাঁর দিদি চন্দনা নস্কর হঠাৎই ভিডিও রেকর্ডিং করতে করতে তাঁর ঘরে ঢুকে পড়েন। সার্টিফিকেট পেতে তাঁর কাছে রেকমেন্ডেশন লেটার চান। তিনি তাঁদের বলেন, পরদিন পঞ্চায়েত অফিসে এসে নিয়ে যেতে। তা সত্ত্বেও দুই বোন তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তখন তিনি রেগে যান। তিনি তাঁদের রাগের মাথায় জানিয়ে দেন, জবকার্ডের টাকা ব্যাংকে না ঢোকায় ২০১৯ সালে ওই ছাত্রীর বাবা অসিত নস্কর তাঁর কাছে অনুরোধ জানান আপাতত ওই টাকা তিনি যেন দিয়ে দেন। জবকার্ডের টাকা ব্যাংকে ঢুকলেই তিনি তাঁকে শোধ করে দেবেন। সেই কথামতো দীপঙ্করবাবু তাঁর এক বিঘা জমি যুধিষ্ঠির সিংয়ের কাছে বন্ধক রেখে ১৯ হাজার ১০০ টাকা অসিত বাবুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে শুধুই কন্যাশ্রী নয়, সমস্ত সরকারি প্রকল্পেই কাটমানির ফাঁস এমনই আটকে পড়েছে সাধারন মানু্ষের গলায়। এমন অভিযোগ দক্ষিন ২৪ পরগনার একাংশ তৃনমূল নেতা কর্মীদের গলায়। তাঁদের ভাষায় কাটমানির দাপট এতটাই বিস্তৃত যে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প কন্যাশ্রীরও পার পাচ্ছেনা এর থেকে। সরকারি যে কোনও প্রকল্প পেলেই নগদে মিটিয়ে দিতে হচ্ছে কাটমানির অংশ। আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া কাটমানি না দিলে চলছে অত্যাচার।