বাংলার মোরগ লড়াই |
নিজস্ব সংবাদদাতা : এক অন্য খুনের কাহিনী আর নজির বিহীন এই খুনের ঘটনায় হতবাক সবাই। ধুলাটের (যেখানে মোরগ লড়াই হয়) নিয়ম কানুন ভেঙে প্রতিপক্ষ মোরগের বদলে মোরগ মালিকেই আক্রমন করে বসল। আর পরিনতিতে মৃত্যু হল সেই মোরগ মালিকের। লাখে এমন ঘটনা একটি ঘটে কিনা সন্দেহ আর তেমনটাই ঘটে গেল পুরুলিয়ার একটি গ্রামে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় মোরগ মালিকের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার, ২০জানুয়ারির দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী পুরুলিয়ার হুড়ার পালগাঁ গ্রাম। পৌষ সংক্রান্তির থেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার জমে ওঠে পালগাঁর জঙ্গলে মোরগ লড়াই মাঠ বা ধুলাট। দূর দুরান্ত থেকে শ’য়ে শ’য়ে মোরগ আর তাঁদের মালিক জড়ো হয় এখানে। জড়ো হয় কাঁতকারের দল। স্থানীয় ভাষায় কাঁতকারের অর্থ হল যাঁরা মোরগের পায়ে কাঁত বা ছুরি বাঁধেন। কখনও কখনও মোরগের মালিক নিজেই কাঁতকার হন। নিজের মোরগের পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে অন্যের মোরগের কাঁত বেঁধে দেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হুড়ার রুদরা গ্রামের বাসিন্দা অসীম মাহাতো তেমনই একজন মোরগ মালিক ও কাঁতকার । এসেছিলেন মোরগ লড়াইয়ে অংশ নিতে।তাঁর মোরগ জিতেও যায়। প্রতিপক্ষের মৃত মোরগ ঝুলিয়ে অসীম যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অন্য একটি মোরগকে পায়ে অস্ত্র বেঁধে তৈরি করা হচ্ছিল। সে সময় ওই মোরগটি এসে অসীমের হাতে ঝুলন্ত মোরগকে আক্রমণ করে, মোরগের পায়ে বাঁধা চার ইঞ্চি কাঁত ঢুকে যায় গলার নলিতে । ফিনকি দিয়ে ছুটতে থাকে রক্ত । মোরগ মালিককে প্রথমে হুড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন চিকিত্সকরা। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ গ্রাম। লড়াইয়ের মোরগের হাতে প্রতিপক্ষ মালিকের মৃত্যু এই প্রথম দেখল পালগাঁর ধুলাট।