ছবি:প্রতীকি |
নিজস্ব সংবাদদাতা: হায় কন্যাশ্রী! প্রচারের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কি মর্মান্তিক চিত্র উঠে এল পুর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে। ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়া ১২ বছরের কিশোরীকে বিয়ে দিল পরিবার! ওই জেলার চণ্ডীপুর থানা এলাকার একটি গ্রামের এই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে গেছে জেলা প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় নাবালিকা কন্যাদের বিয়ে আটকানোর সরকারের এই প্রকল্প সেখানে এটা সবার চোখের আড়ালে সম্ভব হল কি করে ?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রশাসন দাবি করেছে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে হানা দিয়েছিল প্রশাসন কিন্তু অত্যন্ত সুচতুর ভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে পরিবার। জানানো হয় ওই নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। কিন্তু পরে বিয়ে দেওয়া হয় ওই কিশোরীর। খবর পেয়েই পুর্ব মেদিনীপুর জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।আর সেই অভিযোগের মূলেই তাদের গ্রেপ্তার করে শনিবার তমলুক আদালতে পেশ করে পুলিশ।জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে পাত্র বছর একুশের যুবক ভগবানপুরের সুরজিৎ জানাকেও খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ।’জে জে অ্যাক্ট’ অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া বালিকা বধূর যত্ন-সুরক্ষা এবং পড়ালেখার দায়িত্বে নিতে উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর শিশু কল্যাণ কমিটি।১২ বছরের কিশোরীর এই বিয়ের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযোগ করে তিনি বলেন,”খবর পেয়ে আগেভাগেই ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন।কিন্তু পরিবারের লোকেদের জন্য তা সম্ভব হয়নি।প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রীতিমতো জোর করে বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছিল ওই কিশোরীকে।বিয়ের পরও তাকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।আমরা খবর পেয়েই পুলিশ পাঠিয়ে বালিকা বধূকে উদ্ধার করেছি।তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির ব্যবস্থাপনায় তার লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুত্রের খবর গত বৃহস্পতিবার কিশোরীর বিয়ের খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে শুরুতে নালিশ জানিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।বিডিও-পুলিশের লোকেরাও ওই দিন পৌঁছেছিলেন চন্দ্রিমার বাড়িতে।বিয়ে হচ্ছে না বলেই প্রশাসনের নজর ঘোরানোর চেষ্টা চালিয়ে ছিল পরিবারের লোকেরা।অভিযোগ, তারপর ওইদিন রাতেই জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করা হয় নাবালিকাকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খবর পেয়েই শুক্রবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা করে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর।হলদিয়াতে আত্মীয়বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বালিকা বধূকে।শুক্রবার রাতে সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় তার বাবা প্রবীর এবং কাকা প্রলয়কে।