নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে ‘ছেড়ে দেওয়ার’ জন্য আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল। মিলেছিল সবুজ সংকেতও। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যেয় দিল্লিতে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের আন্ডার সেক্রেটারি অংশুমান মিশ্রের লেখা এই চিঠি নবান্নে পৌঁছতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য প্রশাসনে।
সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ১৯৮৭ ব্যাচের IAS অফিসার আলাপনের জন্য ক্যাবিনেটের অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিটি প্লেসমেন্ট অনুমোদন করেছে। তাই অবিলম্বে ওই অফিসারকে রাজ্য থেকে ‘ছেড়ে দেওয়া’র আবেদন করা হয়েছে।
বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। তবে রাজ্য–রাজনীতি এই ইস্যুতে উত্তাল হলেও মুখ্যসচিব সোমবার সম্ভবত যাচ্ছেন না দিল্লি, বলে সূত্রের খবর বরং ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন তিনি। এখানে একটা বিষয় রয়েছে। সেটা হল, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দিল্লি যান তাহলে তাঁর সেইদিনই অবসর। কারণ ৩১ মে তাঁর অবসরগ্রহণের দিন, সরকারি নিয়মেই। আর যে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল সেটা ছিল মুখ্যসচিব হিসাবে। দিল্লি গেলে আগের নির্দেশিকা খারিজ হয়ে যায়। আর না গেলে আরও তিন মাস মুখ্যসচিব থাকা যায়। বাংলার স্বার্থে যেটা জরুরি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র অভিযোগ করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ঘূর্ণিঝড় বৈঠকে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় অবশ্যই জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে ওঠে। আর সেদিন রাতেই আসে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ। আগামী সোমবার তাঁকে নয়াদিল্লির নর্থব্লকে ডিওপিটি বিভাগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। চিঠিতে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (ক্যাডার) রুলস, ১৯৫৪ অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হল।