ওয়েব ডেস্ক : তিন মাসের বিদ্যুতের বিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা! ভাবা যায়? সিইএসসি-র বিদ্যুতের বিল দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ গ্রাহকের। শুধু কি তাই! কারও বিদ্যুতের বিল আসত ৫০০, কারও আবার ৭০০। কিন্তু লকডাউনে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যায় করা সত্ত্বেও অদ্ভুতভাবে সেই বিল বেড়েছে কয়েকগুণ। লকডাউনের পর কারও বিল এসেছে ৫০০০ কারও আবার ১০ হাজার। দু-একজনের নয় বহু পরিবারের বিদ্যুৎ বিলই প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। বিল হাতে পেয়েই তারাতলার সিইএসসি-র অফিসের সামনে রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু করেছেন গ্রাহকেরা।
এদিন বিক্ষোভে সামিল গ্রাহকরা জানান, একেই লকডাউনে উপার্জন বন্ধ। কারও আবার যাও হচ্ছে তাতে কোনোভাবে সংসার চালাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষকে ঠকিয়ে এত টাকা দাবি করলে কীভাবে তা মেটাবেন এই ভেবেই জেরবার সাধারণ মানুষ। তবে নিজেদের দোষ স্বীকার না করলে উল্টে সংস্থার সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের ডিএমের দাবি, একে গরমকাল তার ওপর লকডাউনের দীর্ঘ ৪ মাস সকলেই ঘরবন্দী। ফলে বিদ্যুতের খরচ হয়েছে অনেকটাই বেশি। কিন্তু যেহেতু মে মাস পর্যন্ত রিডিং নেওয়া হয়নি, সেকারণে পুরনো বিল অনুযায়ী গত তিন মাসের টাকা ধার্য করা হয়েছিল।
গত মাস থেকে ফের মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একজন গ্রাহকের সারা বছরের মিটারের অ্যাভারেজের ভিত্তিতে যে বিল পাঠানো হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে। সেই বাড়তি ব্যবহৃত বিদ্যুৎ এর টাকাটিও চলতি মাসের বিলে যুক্ত করা হয়েছে। সেই কারণেই বিল বেশি এসেছে।
তবে সে যেই কারণেই এত পরিমাণ বিল এসে থাকুক না কেনো তা দেওয়া এই মূহুর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কারণ কেউই এত পরিমাণ বিলের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না৷ ফলে কীভাবে বিল মেটাবেন তাই এখনও পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। তবে সিইএসসি-র তরফে সমস্যা সমাধানেরও উপায় বাতলে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার দাবি, কেউ চাইলে প্রতিমাসে কিস্তির মাধ্যমেও বিল পরিশোধ করতে পারেন।
তবে শুধুই সিবিএসসি নয় এই অভিযোগ উঠে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকেও। জেলাগুলিতেও করোনা পর্বে রিডিং নেয়নি রাজ্য বিদ্যুৎ পরিবহন নিগম এবং সেখানেও গড়ে বিল পাঠাতে গিয়ে প্রচুর ভুল বিল পাঠানোর অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় জেলায় গ্রাহকদের ক্ষোভ বাড়ছে।