নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশে করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অথচ তাঁদের ওপরে নেমে আসছে আক্রমন। কোথাও মারধর, কোথাও এলাকা ছাড়া করার হুমকি কোথাও আবার সামাজিক বয়কট। এক শ্রেনীর মানু্ষের এই বেয়াড়াপনা আর বরদাস্ত করা হবেনা জানিয়ে দিয়ে কঠোর অর্ডিন্যান্স আনল কেন্দ্র। ১৮৯৭ সালের দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ আইনকে কিছুটা সংশোধন করেই এই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে জাভড়েকর বলেন ” এই অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর কোনও আক্রমন বা হেনস্থার ঘটনা ঘটলে যে বা যারা দোষি প্রমানিত হবে তাদের অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ৬ মাস থেকে ৭ বছর অবধি জেল হতে পারে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ”৩০ দিনের মধ্যেই মামলার তদন্ত হবে এবং দোষির ৫০ হাজার থেকে ২লক্ষ টাকা অবধি জরিমানা হতে পারে।”
জাভড়েকর বলেন, ”যাঁরা এই ভয়ংকর অতিমারির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা আমাদের দেশ ও জাতিকে রক্ষার করার জন্য যুদ্ধ করছেন অথচ দুর্ভাগ্য এটাই যে তাঁদের ওপরই আক্রমন নেমে আসছে। তাঁদের ওপর কোনও আক্রমন কিংবা হেনস্থা আর বরদাস্ত করা হবেনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা অর্ডিন্যান্স পাশ করেছে রাষ্ট্রপতি সই করার পরেই তা চালু হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেছেন, ”এই অর্ডিন্যান্স অনুসারে স্বাস্থ্যকর্মীদের যানবাহন কিংবা কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে যারা এটা করবে তাদের কাছ থেকে বাজার দরেই সেই ক্ষতিপূরন আদায় করা হবে।”
এদিন সন্ধ্যাবেলাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি আদেশনামা পাঠিয়ে প্রতিটি রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে যে, সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদের নিরপত্তা যেন কঠোর ভাবে রক্ষা করা হয়। বলা হয়েছে যে সব কোভিড যোদ্ধা এই লড়াইয়ে প্রান হারাবেন তাঁদের শেষকৃত্যে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উল্লেখ্য গতকালই ওড়িশার মূখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক করোনায় মৃত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করার পাশাপাশি পরিবারকে ৫০লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন।