ওয়েব ডেস্ক : হাথরসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে পথে নেমেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। সাংবাদিকদের নির্যাতিতার বাড়িতে না ঢুকতে দেওয়ায় বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীও তোপ দেগেছেন যোগী আদিত্যনাথের উপর। ফলে এবার ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। গোটা দেশে নিজের ভাবমূর্তি ক্রমশ নষ্ট হতে দেখে শনিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর শেষমেশ শনিবার হাতরসের দলিত কন্যা ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ডিজিপি এইচসি অস্তি এবং স্বরাস্ট্রসচিব অবিনাশ অতশী। এদিন তাদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন নির্যাতিতার পরিবার।
এদিকে শনিবার দ্বিতীয়বারের জন্য রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি হাথরসে যান। তবে এদিন অবশ্য প্রবল বাকবিতন্ডা,লাঠিচার্জের পরও শেষমেশ ধর্ষিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে সক্ষম হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। একদিকে যখন শনিবার রাহুল প্রিয়াঙ্কা হাথরস কন্যার বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলেন, সে সময় অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ খোলেন মৃতার ভাই। এদিন সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সে বলেন,”জেলাশাসক আমাদের শাসিয়েছে। তাকে কেন বরখাস্ত করল না সরকার? ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমার বোনের অস্থিবিসর্জন হবে না।”
প্রসঙ্গত, শনিবার ধর্ষিতার পরিবার সাংবাদিকদের স্পষ্ট জানান, তাঁরা চান সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্ত হোক৷ একই সঙ্গে এদিন সিট এর বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্তের জন্য যে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করা হয়েছে তারা পিছনে অভিযুক্তদের সাহায্য করছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের কথায় একথা একেবারেই স্পষ্ট যে যোগী সরকারের প্রশাসনে তারা আর একেবারেই সন্তুষ্ট নন। সে কারণেই তারা সিবিআই তদন্তও চান না। বরং তাঁদের একটাই দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হোক।