নিজস্ব সংবাদদাতা: নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধি প্রতিবাদ ও অন্দোলন চতুর্থ দিন অর্থাৎ দুপুর সোমবারও বহাল আর গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সেই আন্দোলনে এখনও অবধি ১০০কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে রেলের। আর এই লোকসানের বেশিরভাগটাই হয়েছে বিধ্বংসী আন্দোলনের জেরেই। সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেও বদলায়নি চিত্রটা। যথারীতি থমকে রেলের এক ঝাঁক ট্রেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ট্রেন পুড়িয়ে দেওয়া ও ব্যবসায়িক ক্ষতি ছাড়াও কারিগরী , বৈদ্যুতিক ও সিগন্যাল ব্যবস্থায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি সোমবার অবরোধ শুরু হয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়। সকাল থেকেই বন্ধ কাকদ্বীপ ও নামখানা শাখার লোকাল ট্রেনের যাতায়াত। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে চূড়ান্ত দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা। বারুইপুর-ডায়মন্ড হারবার ও লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ও ভেজা চট ফেলে দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার আকড়া স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের যে তাণ্ডব হয়েছিল, তার জেরে সোমবারও বন্ধ রয়েছে বজবজ শাখার ট্রেন চলাচল।
হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-পুদুচেরী এক্সপ্রেসও বাতিল করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, কাটোয়া-নিমতিতা প্যাসেঞ্জার, শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর, আজিমগঞ্জ-সাহিবগঞ্জ, সাহিবগঞ্জ-ভাগলপুর, মালদা টাউন-আজিমগঞ্জ- সোমবার এই ট্রেনগুলোও বাতিল থাকছে, ঘোষণা করেছে রেল।
এই ক্ষতি মেরামত করে উঠতে রেলের কত সময় লাগবে অথবা আরও কত ক্ষতির পরিমান বাড়বে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।