বৃহস্পতিবার ভাঙচুর হয় এই বিধায়কের বাড়িতেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা: নাগরিক সংশোধন আইন বিরোধি ক্ষোভে উত্তাল অসমে একের পর এক হামলা চলছে বিজেপি ও আরএসএস অফিসগুলিতে, বাদ যাচ্ছেনা নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সংসদদের বাড়িও। ঘটনায় বহু জায়গায় ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে অসমের তরুনী বিধায়ক আঙুরলতা ডেকার বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। অসমের বাতাদ্রবার বিধায়ক তথা অভিনেত্রী ও মডেল আঙুরলতার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আগেই আক্রমন করা হয়েছিল ডিব্রুগড়ের লক্ষণনগরে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের বাড়িতে। ইট পাটকেল ছুঁড়েছিল বিক্ষোভকারীরা। এরপরই একের পর নেতা মন্ত্রীদের বাড়ি ও অফিস আক্রমনের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা ছাবুয়ার বিধায়ক বিনোদ হাজরিকার বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। আক্রান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, বিজেপির মন্ত্রী রঞ্জিত দত্ত, বিধায়ক আঙুরলতা ডেকার বাড়িও। ভাঙচুর হয়েছে অসম গণ পরিষদের গুয়াহাটির আমবাড়ি সদর দফতরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করে চলছে ইট বৃষ্টি |
আক্রমনের খবর এসেছে জোড়হাট থেকেও। সেখানকার বিজেপি সাংসদ তপন গগৈয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মুখ্যমন্ত্রী সেনওয়ালের আইনি উপদেষ্টা তথা বিজেপি নেতা শান্তনু বাহারাইলের বাড়িতেও হামলা চালানোর খবর এসেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি বিধায়ক প্রশান্ত ফুকান , বিজেপি নেতা সুভাস দত্তের বাড়িও। ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে কয়েকটি আরএসএস দপ্তরও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছোট শহর ও গ্রামগঞ্জের বিজেপি ও আরএসএসের নেতা সমর্থকদের। সেখানে নিরপত্তা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পুলিশের। ফলে ওই সব এলাকায় হয় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে নয় বিক্ষোভকারীদের সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে নাগরিক সংশোধনী আইন বিরোধি আন্দোলনের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫। যদিও সরকার এখনও অবধি তিনজনের মৃত্যুর কথাই বলছে। অন্যদিকে তিনসুকিয়ায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে নারায়ণ নামে এক প্রৌঢ়। ওই ব্যক্তি বাঙালি মালিকানাধীন একটি হোটেলে কাজ করতেন। বিক্ষোভকারীরা হোটেলে অগ্নিসংযোগ করলে তিনি নিহত হন।
এসবের মধ্যেই আজ, শুক্রবার চাঁদমারিতে ফের গণ সমাবেশ ও ১০ ঘণ্টা অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশংকা দেখা দিয়েছে।