শনিবারের দিঘা। ছবি-ইন্টারনেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা: সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধি আন্দোলনের জেরে কি প্রভাব পড়ল রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে? আর মাত্র ৩দিন, তারপরই ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিন। তার আগের শনিবার ও রবিবার, জমকালো শীতের উইকেন্ডের ট্যুর মারাত্মক ভাবে মার খেয়েছে। ফাঁকা দিঘা বকখালি মুর্শিদাবাদ। শীতের ঝোড়ো ইনিংসে বাঙালির কার্নিভাল মেজাজ ধরাই পড়লনা রাজ্যের প্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এবার সবটাই একটু বেসুরো। অভিজ্ঞ ট্যুর অপারেটররা জানাচ্ছেন সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে হিংসা ও রাজনৈতির কর্মসূচির জেরে উৎসব যেন অনেকটাই ফিকে। গত কয়েকদিন ধরে অশান্তির আগুন দেখেছে রেল ও সড়কপথ। রাস্তায় যেমন টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলেছে তেমনই তাণ্ডব চলেছে রেলপথে। একাধিক ট্রেন বাতিল হয়েছে। পেটের দায়ে রাস্তায় নেমে মানুষ বাড়ি ফিরেছে রাত দেড়টা দুটোয়। আর সেই আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাঙালি। ভয়ে বেড়াতে যেতে ভয় পাচ্ছেন পর্যটকেরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হিংসার ব্যতিক্রম হয়নি বাঙালির প্রিয় দিঘা যাওয়ার পথেও। উলুবেড়িয়া, নলপুর রেল স্টেশনে তাণ্ডবের ছবি ভাসছে চোখের ওপরে। বাতিল হয়েছিল দিঘা গামী ট্রেনও। দীঘা যাওয়ার সড়ক পথেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। এখন রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ স্থিমিত হলেও দেশ জুড়ে বিক্ষোভ জোরালো হওয়ায় ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাঙালি। ফলে আলসে শীতের আদরে চেনা সৈকত শহর তেমন ভিড় আর উৎসবের মেজাজ দেখতে পায়নি শনি আর রবিবার।
এখানে আপনিও বিজ্ঞাপন দিন |
সৈকত শহর জুড়ে ছোট-মাঝারি-বড় মিলিয়ে প্রায় বারোশো হোটেল রয়েছে। ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘার অধিকাংশ হোটেলই শনিবার ফাঁকা ছিল। হোটেল ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গত ডিসেম্বরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে এক লক্ষ পর্যটক দিঘায় এসেছেন। কিন্তু এ বার পরপর দু’টি সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিঘার হোটেল মালিক সংগঠনের এক কর্তা জানালেন, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সর্বত্র বিক্ষোভ চলছে। সে জন্য অনেকে আতঙ্কিত। তাই ডিসেম্বরে সপ্তাহান্তের ছুটিতে তেমন ভিড় হচ্ছে না। তবে নতুন বছরে পা ফেলার আগেই ছবিটা বদলে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’’ বড়দিন থেকে পয়লা জানুয়ারির ছুটিতে দিঘার বিভিন্ন হোটেলে ৬০% ঘর অগ্রিম বুক হয়ে গিয়েছে বলে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একই খবর এসেছে মুর্শিদাবাদ থেকেও। শনি রবির লালবাগে পর্যটক একেবারেই কম। হাজার দুয়ারি সহ সংলগ্ন এলাকায় ভিড় নেই বললেই চলে। টাঙ্গাওয়ালা রিকশাওয়ালা বলছেন দিনের খোরাক যোগাড় করাই মুশকিল হয়ে উঠেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদই সব চেয়ে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছিল আন্দোলনের জেরে। হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেস সহ পাঁচ পাঁচটি ট্রেন পুড়েছিল এই জেলাতেই। বড়দিনের মুখে সেই সব ভীতি কাটিয়ে বাঙালি আবার ছন্দে ফিরতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।