চিন্ময় তিওয়ারী : ”আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি ক্যা ক্যা করে ঘন্টা বাজাচ্ছেন আবার ক্যা ক্যা ছি ছি বলছেন। যেন আন্দোলনের নামে ছ্যাবলামি করছেন।” সদ্য পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে মমতা ব্যানার্জীকে এভাবেই বিঁধলেন বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার কালিতলা সুপার মার্কেটের প্রাঙ্গণে, নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাখা বার্ষিক সাধারণ সভার প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘কদিন আগে যখন উনি দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন তখন সবাই ভাবলেন উনি বোধহয় এনআরসি নিয়ে জোরালো আলোচনা করবেন কিন্তু সাংবাদিকদের হতাশ করে উনি বললেন এনআরসি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তাহলে কি নিয়ে আলোচনা হল ? দেখা গেল ওনার আলোচনার পর যারা রাজীব কুমারকে ধরতে গেছিল তারা শুয়ে গেল। পিসি আর ভাইপো বেঁচে গেল আর আমরা পেলাম সংশোধিত নাগরিক আইন।উনি এখানে ক্যা ক্যা করেন আর দিল্লি গিয়ে ব্যা ব্যা।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুজন এদিন মনে করিয়ে দেন, ”মমতা ব্যানার্জী বরাবরই এরকম। ২০০৩সালে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী তখনই প্রথম এনআরসি উত্থাপিত হয়, উদ্বাস্তুদের বেআইনি নাগরিক। তখন মমতা ব্যানার্জী ওই মন্ত্রী সভার শরিক । তখনও উনি একটাও কথা বলেননি।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুজন বাবু দাবি করেছেন, দেশের বেকারী বাড়ছে, মানুষ কাজ পাচ্ছেনা , ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। এই সব সমস্যা থেকেই মানু্ষের মুখ ঘুরিযে দেওয়ার জন্যই মানুষকে কাগজপত্র খোঁজার আর অস্তিত্ব সংকটে ডুবিয়ে রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের পাশাপশি এরাজ্যও বেকার সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ। গত ৯বছরে এমন একটা কারখানা তৈরি হয়নি যেখানে এক সঙ্গে এক দেড় হাজার মানুষ কাজ পেতে পারে। বরং সেরকমই কারখানা যখন বাম আমলে চালুর মুখে তখন তাকে বন্ধ করে দিয়েছে এই তৃনমূল দল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুজন চক্রবর্ত্তী উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনে করিয়ে দেন যে এরাজ্যের শিক্ষক সমাজ শুধু বেতনের অংকেই নয়, মর্যাদার নিরিখেও সারা দেশে পিছিয়ে পড়েছেন। তিনি শিক্ষক সমাজকে আহ্বান জানান, সমাজের কৃষক শ্রমিক নিপীড়িত মানু্ষের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য। এদিন চক্রবর্ত্তীর পাশাপাশি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহন দাস পন্ডিত, সভাপতি দেবাশীষ দত্ত, সহ-সভাপতি সমর চক্রবর্তী প্রমুখ, এই সভায় শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়াও পিংলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিলেন।