Homeএখন খবরখড়গপুরের দখল নিতে ছদ্মবেশেই কাজ শুরু টিম পি.কের

খড়গপুরের দখল নিতে ছদ্মবেশেই কাজ শুরু টিম পি.কের

নিজস্ব সংবাদদাতা: লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ভূতে জোগানো আটশ কিংবা হাজার কোটিতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বি টিম সেজে মাঠে নেমেছে প্রশান্ত কিশোরের দল টিম পি.কে। নেতা থেকে কর্মী সবার উপরেই খাপ্পা জনমতকে বাগে আনতে মা-মাটি-মানুষের দলের মেন্টর এখন স্বয়ং মমতা ব্যানার্জীও নন। এখন পি.কেই ভরসা। কাটমানি শোরগোলে ফর্দা ফাই সততার জর্দা কৌটো। তাই পি.কের ফর্মুলা মেনেই এখন দিদিকে বলাবলি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তো বরাত পাওয়ার পরেই কাজে নেমে পড়েছেন পি.কে। মাসিক আট হাজারি মাশোয়ারা দিয়ে নিযুক্ত করেছেন কয়েকশ ছেলে মেয়ে। এতদিন কাজ চলেছে অফিস ভিত্তিক , ডেটা সংগ্রহ। এবার কাজ মাঠে। লোকসভার পর রাজ্যের তিন বিধানসভার উপনির্বাচনই এবার পি.কের হাতে কলমে প্রথম  কাজ , অ্যাসিড টেস্ট।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নির্বাচন কমিশন আগামী ২৫শে নভেম্বর খড়গপুর সদর বিধানসভা ক্ষেত্রের নির্বাচনের দিন ঠিক করেছেন। একই সাথে ভোট হবে কালিয়াচক, করিমপুরে। তবে পি.কের চ্যালেঞ্জ খড়গপুরই। কারন এই আসন থেকেই বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম জয় পেয়েছিলেন আর এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদও দিলীপ ঘোষ। সুতরাং খড়গপুর জেতা মানে দিলীপ ঘোষকে হারানো, তৃণমূলের ক্ষয়িষ্ণু জামানার পালে নতুন হাওয়া।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
না সরাসরি মাঠে নামছেনা টিম পি.কে। মাঠে নামার রসদ জোগাচ্ছে তারা। নির্বাচনের বাজারে কোন হাওয়া তুললে বিজেপিকে টক্কর দেওয়া যায় তারই সন্ধানে আপাতত টিম পি.কে। তাই নির্বাচন ঘোষনার ২৪ঘন্টার মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২৬তারিখ থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে পি.কে বাহিনী বিভিন্ন ছদ্মবেশে খড়গপুরের বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এই পেশায় রয়েছেন সাংবাদিক , শিক্ষক, সমাজসেবি, ব্যবসায়ী ইত্যাদিরা যাঁদের নাড়ি টিপে ‘গ্রাউন্ড রিয়েলিটি’ বোঝা যায়।  ২৬তারিখ সকালে জনৈক সাংবাদিকের কাছে ফোন এসেছে দিল্লির একটি সংবাদপত্রের একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকের যিনি তাঁর অফিস থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন খড়গপুর কভার করার।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর সেই খড়গপুরে আসার আগে তিনি খড়গপুরের গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বোঝার জন্য বিভিন্ন সাংবাদিকদের ফোন করেছেন। জানতে চেয়েছেন, এখানকার প্রধান সমস্যা, লোকেরা কি ভাবছেন, এবার কার জেতার সম্ভাবনা, চেয়ারম্যান, বিধায়ক কেমন কাজ করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কেন এখনও শাসকদল প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি ? কাকে প্রার্থী করলে সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদিও জানার চেষ্টাও করা হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২৬তারিখ বিকালেই খড়গপুরের সমস্যা নিয়ে অর্থাৎ পানীয় জল , রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ইত্যাদি নানা বিষয়ে উন্নয়নসূচক তৈরি করছে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন যোগাযোগ করেছে সাংবাদিকদের সঙ্গে। তারা দাবি করেছে জেলার তথ্য আধিকারিকের কাছ থেকে তারা ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছে।
                  
 প্রশ্ন হল কোনও সংবাদপত্র কি তাঁদের দিল্লিতে অবস্থিত ফ্রিলান্সারকে কাজের জন্য হাজার কিলোমিটার দুরে পাঠায় ? পাঠালে নিজস্ব প্রতিনিধিই পাঠাবেন। আর দিল্লির কোনও সংবাদপত্রের একটা উপনির্বাচন নিয়ে কিছু যায় আসে কি? আসলে এই ধরনের ক্ষেত্রে কেউ চ্যালেঞ্জ করলে সংবাদপত্র অফিসটিকে ছুঁতে পারবেনা কারন ফ্রিলান্সারদের দায়িত্ব কোনও অফিস নেয়না।

আর একটি এনজিও হঠাৎ করে খড়গপুর নিয়ে ডেটা কালেকশন করতে বসল? খড়গপুর একটা সিটি বলেই পরিচিত । তার উন্নয়ন সূচকের জন্য পৌরসভা, নগরোন্নয়ন মন্ত্রকেই যথেষ্ট ডেটা পাওয়া যায়। সেখানে নাগরিক পালস বোঝার কি দরকার ? আসলে এসবই হচ্ছে পি.কের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ গুপ্তচর বাহিনী। প্রথম দফায় এরা এভাবেই কাজ শুরু করেছে। এবার দেখার দ্বিতীয় দফায় পি.কে কি কেরামতি দেখায় ! 

RELATED ARTICLES

Most Popular