২৬এপ্রিল, রাত :১১ভারতে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল প্রায় দু’হাজার। রবিবার গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৭৫ জন যা একদিনে সর্বাধিক।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৬ এপ্রিল, রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৯১৭। মৃত্যু হয়েছে ৮২৬ জনের। এক দিনে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে ৭০৫ জন সুস্থও হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫৯১৪। অর্থাৎ বর্তমানে ভারতে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২০১৭৭।
মহারাষ্ট্রের রবিবার নতুন ৪৪০ আক্রান্ত হয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৮,০৬৮। রবিবারই রাজ্য মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের এবং মৃতের সংখ্যা ৩৪২ যা মোট আক্রান্তের মতই মৃতের নিরিখেও সব রাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। রবিবার ১১২ জন রুগী ছাড়া পেয়েছে যা নিয়ে মোট ১১৮৮ জন করোনা মুক্ত হয়েছে এই রাজ্যে।
মহারাষ্ট্রের রাজধানী তথা দেশের সর্ব বৃহৎ বানিজ্য নগরী মুম্বাইতে ৩২৪জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার। এখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫,১৯৪ এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ২০৪জনের । রবিবার ১৩৫জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং মোট করোনা মুক্তের সংখ্যা ৮৯৭।
দ্বিতীয় সর্বাধিক আক্রান্ত রাজ্য গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। গুজরাটে আক্রান্ত ৩০৭১, দিল্লিতে ২৬২৫, রাজস্থানে ২০৮৩ জন।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৬১ । মৃত ২০ । রবিবারই নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন।ইতিমধ্যেই করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ১০৫ জন। যদিও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে রাজ্যে আক্রান্ত ৬১১ জন।
অন্যদিকে রবিবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক স্বাস্থ্যকর্তার। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন মাড়োয়ারি হাসপাতালের এক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে কোভিডের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে ওই হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে। ফলে গোটা হাসপাতালই বন্ধের মুখে। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক সদ্য প্রসূতিও। হাজরার একটি বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান প্রসবের পরেই জানা যায় ওই প্রসূতি করোনা আক্রান্ত। তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা পরর পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। অন্য দিকে কেরল নতুন করে ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। এনিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তে রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৬৮।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের এই পরিসংখ্যান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের তরফে পাঠানো পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। ৩১২টি কেসের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে কী ভাবে সংক্রমণ ছড়াল তা জানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।