২৩শে এপ্রিল, রাত ১১টা : রাজ্যে নতুন করে আরও ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত । এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৪ । সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৪ জন । সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কলকাতা নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন । ৮০ শতাংশ করোনা কেস-ই কলকাতায় । কারন হিসাবে মূখ্যসচিব বলেন, একটু বেশি মেলা মেশা হয়েছে । মৃত ১৫ ।
করোনা পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ জানতে চেয়ে মুখ্যসচিবকে ৪ পাতার চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান।
কলকাতার ৫টি, হাওড়ার ৩টি, উত্তর ২৪ পরগনার ২টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩টি- ৪ জেলার মোট ১৩টি এলাকাকে চিঠিতে ‘হটস্পট’ বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় দল। এই এলাকাগুলিতে পরিদর্শনে যেতে চায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। বাজার, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও হাসপাতালেও যেতে চান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও ৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্স, কর্মী সব মিলিয়ে মেডিক্যাল মোট ২১ জনের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা। যারমধ্যে ৯ জন চিকিৎসক, ৪ জন নার্স, পূর্ত বিভাগের ২ জন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্মী ও ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। কার্যত করোনার ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে যেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
রাজ্যের বড় ঘটনা খড়গপুরে ৬জন আরপিএফ জওয়ানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়া। একই সাথে উলুবেড়িয়া ও সাঁতরাগাছির ২ জওয়ান। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালেও একজনের করোনা পজিটিভ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২২৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২১,৭০০। মৃত্যু হয়েছে ৬৮৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।
ভারতে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১৬,৬৮৯। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৮৩০। এছাড়াও নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩৬৫ জন। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যার নিরিখে সব রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৫৬৫২। মৃত্যু হয়েছে ২৬৯ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৮৯ জন।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ২৬ জন করোনা পজিটিভ হলেন। জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৯৪৫। মৃত ৫৩
এছাড়াও আরও ৫ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১ জন, মেঘালয়ে ১২ জন, ত্রিপুরাতে ২জন, ঝাড়খণ্ডে ৪৯ জন ও অসমে ৩৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অসমে ১ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩ জনের এবং মেঘালয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১ জন, ত্রিপুরাতে ১ জন ও অসমে ১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে খবর।