নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউনে বারংবার বাড়ির বাইরে যেতে বারন করেছিল দাদা কিন্তু শোনেননি ভাই আর তারই জেরে খুন হয়ে যেতে হল ভাইকে। বুধবার এরকমই ঘটনার খবর এসেছে মুম্বাই থেকে। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সারা দেশ। এটা ঘটনা যে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই দেশে করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই লকডাউনকে তোয়াক্কা করছেন না বহু মানুষ। কখনও আবার পুলিশের লাঠিপেটাও খেতে হচ্ছে। কিন্তু লকডাউন না মানায় কাউকে খুন করা হতে পারে, তা বোধহয়. ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি কেউ। কিন্তু এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল মুম্বইয়ের কান্দিভেলির বাসিন্দারা।দাদা কথা অমান্য করে রাস্তায় বের হওয়ায়, ভাইকে কোপালেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার ছিল দেশ জোড়া লকডাউনের প্রথম দিন। বাড়ি বাইরে বের না হওয়ার আবেদন জানাচ্ছিল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভরে গিয়েছে একই আবেদনে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধেবেলা ঘুরতে যেতে চেয়েছিলেন ২৮ বছরের যুবক দুর্গেশ। তাঁকে বারবার নিষেধ করেন দাদা রাজেশ লক্ষ্মী ঠাকুর ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু তাঁদের কথা কানে তোলেননি দুর্গেশ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
বেশকিছুক্ষণ বাড়ি ফেরার পরই অশান্তির সূত্রপাত। দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন রাজেশের স্ত্রীও। সেই সময় ভাই দুর্গেশকে কোপ মারে দাদা। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দাদা-বউদিকে গ্রেপ্তার করে মুম্বই পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গেশ পুণের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। লকডাউনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন। সন্ধ্যে বেলা বাড়ি থেকে বের হতে চাইলে দাদা-বাউদি বারণ করেন। কিন্তু কথা না শোনায় অশান্তি হয়। অশান্তির এহেন চরম পরিণতি হতে পারে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। তবে নেহাৎই বাইরে বের হওয়াই কারন নাকি পেছনে অন্য গল্প আছে তদন্ত করছেন পুলিশ।