নিজস্ব সংবাদদাতা: এ যেন খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজা! লকডাউনের আইন ভেঙে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা সাধারন গাড়িতেও রুগী সাজিয়ে লোক আদান প্রদান হয়েছে ঘাটালে। লকডাউনে অন্য জায়গার কেউ কেউ ঘাটালে আটকে পড়েছিলেন আবার ঘাটালের মানুষ যারা অন্যত্র আটকে পড়েছিলেন তাঁদের আদান প্রদান হয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা রুগীর বেশে সাধারন গাড়িতে নিয়ে আসা যাওয়া করা হয়েছে। মওকা বুঝে ভাড়া নেওয়া হয়েছে চারগুন, কামাই হয়েছে ভালই। পকেট ভরেছে গাড়ির মালিক, চালকদের আর জীবন নিয়ে টানাটানি সাধারন মানু্ষের। যে ঘাটাল শহরে করোনার ক ছিলনা এখন সেখানে আতঙ্কের প্রহর গুনছে মানুষ।
বৃহস্পতিবার ঘাটালের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাম্বুলেন্স চালকের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর আসার পরই পুলিশ চালাকির খেলাটা বুঝে গিয়েছিল আর এটাও বুঝে গেছিল যে আইন ভাঙার এই খেলার পেছনে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক বা তার মালিক একাই নয়,সঙ্গে আরও অনেকে আছে যারা এই অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়ে লকডাউন ভেঙে চারগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে লাভের গুড় পকেটে ভরেছে। খুঁজতে খুঁজতে পুলিশ এরকমই ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের খোঁজ পেয়েছে যেগুলি ব্যবহার হয়েছিল এই বেআইনি কারবারে। পাশাপাশি একটি সাধারন গাড়িরও খোঁজ মেলে এই কাজে ব্যবহারের জন্য। সেই সব গাড়ি তুলে এনেছে পুলিশ। আপাতত স্যানিটাইজ করে পরে বন্দোবস্ত হবে এসবের। খোঁজ মিলেছে এমন তিনজন চালকের যাঁরা এই গাড়ি গুলি চালাতেন।
ওই তিন চালকের পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে গত ২০তারিখ কোভিড আক্রান্ত চালকের সংস্পর্শে যে সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও গ্রুপ ডি স্টাফ এসেছিলেন তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তিন চালক বাদ দিলে বাকিদের সংখ্যাটা ৮ জন । এঁদের লালা রস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। এবার সমস্যা হল কাদের নিয়ে যাওয়া এবং আসা করেছিল অ্যাম্বুলেন্স গুলো? কোথায় কোথায় আদান প্রদান করা হয়েছিল? এঁদের মধ্যে কার থেকে করোনা সংক্রমন ছড়লো এই চালকের দেহে? জানাটা খুবই জরুরি। না হলে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তি আরও কতজনকে সংক্রমিত করবেন বা তাঁরা আবার কাদের ছড়াবেন, সেই ব্যক্তি কি ঘাটালেই আছেন ? উত্তর গুলো জানা খুবই জরুরি। সেই উত্তরই
খুঁজছে পুলিশ ।