পাঁশকুড়া রেল থানায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশনে লোকাল ট্রেনের মধ্যে ট্রলি ব্যাগে পুরে দেওয়া মৃতের পরিচয় উদ্ধার করল পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ। দেহটি কলকাতার এক ব্যবসায়ী ৪৫বছর বয়স্ক হাসান আলির বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে পাঁশকুড়া জিআরপিতে এসে হাসানের দেহ সনাক্ত করেছে পরিবার। পরিবারের দাবি খুনিরা পূর্ব মেদিনীপুর জেলারই বাসিন্দা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ জানিয়েছে হাসানের বি.বি.গাঙ্গুলী স্ট্রিট , বউ বাজার। সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দিঘার উদ্দেশ্য। মঙ্গলবার বিকাল থেকে পরিবারের সংগে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। মৃত হাসানের এক আত্মীয় মীর মহম্মদ ইকবাল হোসেন দাবি করেছেন, দিঘাতে একটি হোটেল লিজে নিয়ে চালাতে চাইছিলেন এবং এই বাবদ ২১লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল হোটেল মালিকের সংগে। তারমধ্যে ১৫লক্ষ টাকা হাসান মিটিয়ে দেয়। বাকি ৬লক্ষ ২৪ফেব্রুয়ারির মধ্যে মেটানোর কথা ছিল। সেই টাকা নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হাসান। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হাসানের সংগে যোগাযোগ করতে না পেরে তার পরিবার দিঘায় ওই হোটেল মালিকের কাছে গেলে জানতে পারে যে হাসান সেখানে যায়নি। ওই হোটেল মালিকই জানায় এই চুক্তির পেছনে দিঘা , নিউ দিঘা ও রামনগর এলাকার চারজন দালালের সাহায্য নিয়েছিল হাসান।
পরিবারের ধারনা টাকার লোভে অথবা লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বচসা থেকেই খুন করা হয়েছে হাসানকে এবং খুনের পর মুখমন্ডল বিকৃত করে দেওয়া হয় মৃতের পরিচয় গোপন করতে। যদিও মৃতের স্ত্রী হাসানের নাভির পাশে একটা তিল দেখেই তাকে সনাক্ত করেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মেচেদা স্টেশনে নেমেই খুনিদের খপ্পরে পড়ে যান হাসান। এখানকারই কোনও হোটেল অথবা বাড়িতে তাকে সংজ্ঞাহীন করে খুন করার পর মৃতদেহটি ট্রলি ব্যাগে ভরে রাতের লোকালে ফেলে রাখা হয় যা পরের দিন ট্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে আঁতকে উঠেছিল সাফাইকর্মীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঁশকুড়া রেল পুলিশ।