নিউজ ডেস্ক:গঙ্গায় জলে ভেসে আসছে একের পর এক পচাগলা মৃতদেহ। সেই মৃতদেহ এক বা দুই নয়, একেবারে ৪০-৪৫টা লাশ। সংখ্যা ছাড়াতে পারে ১৫০। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিহারের বক্সায় গঙ্গার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। করোনা পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া বিহারের সীমানায় এভাবে একসঙ্গে এত অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ ভেসে আসাতেই চাঞ্চল্য। কোথা থেকে এল একসঙ্গে এত মৃতদেহ; খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোমবার এই বীভৎস দৃশ্যে চমকে উঠেছে গঙ্গার তীরবর্তী বাসিন্দারা। ঘুম থেকে কেউ ছুটেছিলেন মাছ শিকারের জন্য নৌকা ভাসাতে, কেউ গঙ্গাস্নানে কেউ আবার ধোপির কাজে, জামা কাপড় কাচতে। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন তাঁরা। তাঁদেরই হাঁকডাকে এদিন ঘুম ভাঙে চৌসার স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপরই সকাল সকাল উঠেই বাসিন্দারা গঙ্গার পাড়ে গিয়ে দেখেন মহাদেব ঘাটে সার সার দিয়ে জলে ভাসছে পচে গলে ফুলে ওঠা মৃতদেহ। যদিও শুধু চৌসা নয়, মৃতদেহ দেখতে পাওয়া গেছে কাঠগহড়া, কামহরিয়ার পাড় থেকেও।
মুহূর্তে খবর যায় পুলিশে। স্রোতের দিক বিচার করে স্থানীয় প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান, উত্তরপ্রদেশ থেকেই ভেসে এসেছে দেহগুলি এবং মৃতদের মৃত্যু সম্ভবত করোনা সংক্রমণের কারণেই হয়েছে। অন্তিম সৎকারে অসমর্থ হওয়ায় মৃতের পরিবার দেহগুলি নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন।করোনা পরিস্থিতিতে এভাবে দেহ ভেসে আসায় নদীর জলে সংক্রমণ আরও ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বক্সার জেলা শাসক আমন সমির এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৩০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে গঙ্গা নদী থেকে। এটা দেখা যাচ্ছে যে দেহগুলি তিন চারদিনের পুরানো এবং এগুলি এই জেলার নয়। “গ্রামবাসীরা বক্সার মহকুমা পুলিশ শাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে গঠিত তদন্তকারী দলকে জানিয়েছে যে, দেহগুলি স্থানীয় এলাকার নয় এবং গত দু’তিন ধরে সেগুলি আসছে নদীর উপরের দিক থেকে সীমান্তের রাজ্য দিক থেকে স্রোতে ভেসে।” ঘটনার পরই নদীগর্ভে নিবিড় পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে করোনায় মৃতদেহ যখন সরকারি উদ্যোগে সৎকার হওয়ার কথা সেখানে খরচের অভাবে মৃতদেহ নদীতে ভাসানো হবে কেন?