নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনেও রক্তাক্ত হল বাংলার মাটি। ভোটের দিন সকালেই হাবড়া বিধানসভার জমিদারগেট এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। হাবড়ার কৈপুকুরের জমিদার গেট এলাকায় রাস্তার পাশের একটি ডোবা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় রিপোর্ট তলব কমিশনের।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ওই যুবকের মৃতদেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। যুবকের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে যুবককে। তবে ব্যক্তিগত আক্রোশ না রাজনৈতিক হিংসার শিকার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটোনাস্থলে পৌঁছান হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে মেরে ফেলে গেছে, এখানে একটা সিসিটিভি ফুটেজ আছে, সেটা দেখুক পুলিশ।‘
সকাল থেকেই উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে। আমডাঙার রংমহলে বুথের ২০০ মিটার দূরত্বে তাজা বোমা উদ্ধার ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ পৌঁছায়। আবার আমডাঙার বইচগাছিতে আইএসএফ প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের ৯১ নং বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক শিবির। এদিকে ভোট শুরু হতেই উত্তেজনা ছড়ায় কাঁচরাপাড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় বেধড়ক মেরে তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অশোকনগরে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনেও বঙ্গের চিত্র বদলালো না বিন্দুমাত্র।