নিজস্ব সংবাদদাতা: হাজার কোটির বায়নানামায় বিপদতারন প্রশান্ত কিশোরের অ্যাপয়েন্টমেন্টের পরও লোকসভায় গো-হারান পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বিধানসভার হিসাব ধরলে ১১৫টি আসনে পিছিয়ে তৃণমূল আর ৫০টি আসনে বুড়ি ছোঁয়া জয়। ১৪৭ম্যাজিক ফিগারের আশে পাশে বিজেপি। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ দিয়ে এ সংকট কতটা কাটবে জানা নেই তবে যদি কাটে তাহলে তৃতীয় তৃণমূল সরকারে বছর দুয়েকের মাথায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অভিষেক হয়ে যাবে নিশ্চিত ভাবেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মাস ছয়েক সেই অভিষেককে আড়ালে রেখে যৎকিঞ্চিত পরিছন্ন করে সোমবার নেতাজী ইন্ডোরে পেশ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। এ সভায় নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না। না, শুধুই শুভেন্দু নন, হাজির ছিলেন না শুভেন্দু অনুগামী অনন্ত শ খানেক জেলা স্তরের বাঘা বাঘা নেতা, যাঁদের মধ্যে ডজন ডজন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান কাউন্সিলের সদস্যরা রয়েছেন। সোজা কথায় নেতাজী ইন্ডোরকে ঘিরে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
২০১১তে ক্ষমতায় আসা আর ২০২১য়ের বিধানসভার আগে তৃণমূলের মধ্যে এটা সর্ব বৃহৎ বিভাজন। এ বিভাজন যদি পি.কে দাওয়াইয়ে না রুখে দেওয়া যায় তবে শুভেন্দু সহ শ’ খানেক নতুন প্রার্থী পেয়ে যাবে বিজেপি। কারন তৃণমূলে এই মুহূর্তে মমতা ব্যানার্জী বাদ দিলে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীরই ‘মেদিনীপুর থেকে মালদা’ নিজস্ব ‘ভাই’ রয়েছে। সেই ভাইরাই এবার পি.কে কে তুলোধুনো করতে ময়দানে নেমে পড়েছে শুধু তাই নয়,তাঁদের আক্রমনের মুখে পড়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুভেন্দু ভক্তদের তিনটি শক্তিশালী ফেসবুক পেজ রয়েছে যাঁদের সদস্য সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। এছাড়াও স্থানীয় স্তরে ছোট বড় নানা পেজ রয়েছে। সোমবার নেতাজী ইণ্ডোরের সভার ঘটনার পর প্রায় সমস্ত পেজই গর্জে উঠেছে পি.কের বিরুদ্ধে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ‘দাদা’র বিরুদ্ধে ঘৃন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে।
কর্পোরেট ঘরানায় নেতাজী ইন্ডোরের সভায় এবার আমন্ত্রিত তৃণমূল নেতা কর্মীদের চিঠিতে এবার বারকোড ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে কি লাভ হয়েছে জানা নেই কিন্তু ক্ষতির পরিমান মারাত্মক। বহু জায়গাতেই দেখা গেছে শুভেন্দুর অনুগামীরা হয় কার্ড পায়নি কিংবা এমন ভাবে কার্ড বিতরন করা হয়েছে যাতে কিংবা তাঁদের মর্যাদা হানি হয়েছে। যেমন একটি পৌরসভার চেয়ারম্যান শুভেন্দুর অনুগামী হওয়ায় সাধারন গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন আবার সেই পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল শুভেন্দুর বিপরীতে থাকায় ভিআইপি গেটের পাশ পেয়ে গেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে জেলাপরিষদের ক্ষেত্রেও। জেলা পরিষদের সাধারন সদস্য পেয়েছেন ভিআইপি গেটের পাশ, এমনকি কোথাও ব্লকস্তরের নেতাও অন্যদিকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পেয়েছেন সাধারন গেট দিয়ে প্রবেশ অধিকার। মান সম্মান বাঁচাতে এরা ইন্ডোর যাননি। আর এই বারকোড নিয়ে মাত্র এক কথায় অসাধারণ পোষ্ট হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী সাপোর্টার গ্রুপে। তন্ময় পন্ডা নামে এক শুভেন্দু সৈনিক লিখেছেন, ” আমি কোনো বারকোড বুঝিনা !!! একটাই বারকোড বুঝি
#শুভেন্দু_অধিকারী” নাম না করেই এক জায়গায় অভিষেককেই উদ্দেশ্যে করে পোষ্ট করা হয়েছে , ‘তোমার নেতা যখন A.C ঘরে বসে ছিলো.বাংলার জননেতা শুভেন্দু অধিকারী তখন বন্ধ পার্টিঅফিস খুলতে ব্যস্ত ছিল।”
একজন লিখেছেন, ”শুভেন্দু অধিকারী কে যদি দল পেছনে ফেলার চেষ্টা করে তাহলে ফল ভালো হবে না , কারন গুরুদেব যেখানেই যায় সেখানেই বাজিমাত”
একটি লম্বা পোষ্টে জনৈক তুহিন শুভ্র সাহু লোকসভার ফল ঘোষনার পরের অবস্থা সম্পর্কে লিখেছেন, ”….চারদিকে বিজেপির অত্যাচার।… ছুটে চলেছেন মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া আবার কখনো পশ্চিম মেদিনীপুরে। ……আজ জননেতার বিরামহীন নিরলস পরিশ্রমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন। সেই সাংগঠনিক সম্রাট কে আজ নেতাজী ইনডোর এ অনুপস্থিত দেখা গেল। এটা কি ধরনের সৌজন্যতা ঠিক বুঝতে পারলাম না। মনে হয় কাজের বেলায় কাজি আর কাজ ফুরালে পাজি সেই রকম একটা ব্যাবস্থা।…. ঠান্ডা ঘরে বসে খুব সহজেই অনেক কিছু বলা যায় কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারা যায় না। আমাদের সাংগঠনিক সম্রাটের এই অপমান সমস্ত শুভেন্দু অধিকারী সমর্থকদের এবং তার সৈনিকদের।” বলাবাহুল্য এখানেও আক্রমন সেই অভিষেককে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একজন লিখেছেন, ” কোথাকার কোন #PK তৃনমূলকে নাকি তুলে ধরতে এসেছে!তাহলে সব নেতা-কর্মিরা ঘুমিয়ে পড়ুক,,,আর উনি একাই দলটাকে টেনে নিয়ে যান!!!তাড়লে বুঝবো দম আছে বেটার!!!
বাংলার মানুষ যাকে চাইছে,তাকে যোগ্য সন্মান না দিয়ে #ভাইপোকে বেশি #হাইলাইটস করতে চাইছে,যেটা কোন মতেই কাম্য নয়।
যিনার হাত ধরে #রাজ্যের_পটভূমির পরিবর্তন,,,তিনাকে পিছিয়ে রাখার মানে কি!!!
হ্যাঁ আমি জননেতা মাননীয় #শুভেন্দু_অধিকারী মহাশয়ের কথা বলছি।
তিনি আর পাঁচটা নেতার মতো সিড়ি বেয়ে উঠে আসেনি।
তিনি ধাপে ধাপে উঠে এসেছেন।”