নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন বাংলার ৯০% কাজ হয়ে গেছে। সেই তিনিই বলছেন আমফান ঝড়ে হাজার হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে। তাহলে প্রশ্ন হল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে টাকা কেন্দ্র পাঠিয়েছে সেই টাকা গুলো গেল কোথায়? বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা বিজেপি আয়োজিত রক্তদান শিবির ও জেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন রাজ্যের অন্যতম সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই প্রশ্ন তুললেন সাংবাদিক সম্মেলনে। এদিন রক্তদান ও সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। জ্যোতির্ময় সদ্য রাজ্য সাধারন সম্পাদক হিসাবেও দলের রাজ্য কমিটিতে এসেছেন। হাজির ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি শমিত দাশ থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতারাও। রক্তদান কর্মসুচীর পরেই মেদিনীপুর শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন এই বিজেপি নেতারা ৷
এদিন সায়ন্তন বসু আমফানে বাড়ি ক্ষতি নিয়েও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে দাবি করেন সিবিআই তদন্ত হোক৷ তিনি বলেন “রাজ্য প্রশাসনের থেকে আমাদের বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বেশি দেখেছে।আমফানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বহুবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী যে বলতেন উনি অনেক বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন সেগুলো গেল কোথায়? আসলে প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠালেও উনি বাড়ি করে দেননি। দিদির লোকেরা সেই টাকাটা আত্মসাৎ করেছেন। আমার মনে হয় এরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করে বাংলা আবাস যোজনার যে নামকরণ হয়েছে, এটা একটা সম্পূর্ণ কেলেঙ্কারি। আমফানে বাড়ি ভাঙার ঘটনা সেটা প্রমাণিত। তাই যেহেতু কেন্দ্রের প্রজেক্ট এটি, আমাদের দাবি তাই সিবিআই তদন্ত হোক। যে সমস্ত তৃণমূলের নেতারা এই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার আবেদন করেছেন কেন্দ্রে। এদিন সে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বসু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবগুলোকে তেরোশো কোটি টাকা দিয়েছেন। সেই টাকা ফিরিয়ে নিয়ে বরং পরিযায়ী শ্রমিকদের দিন। তাহলে সব হিসেব মিটে যাবে ওনাকে কারো কাছে হাত পাততে হবে না। উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে বিতর্কে আরো বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এদিন সায়ন্তন বসু।
তিনি বলেন-” সংবিধান যারা জানেন না, তাদের জেনে নেওয়া ভালো। কেন্দ্রের আইনের বিরুদ্ধে যদি কোন বিধানসভা আইন করে, সে আইন মানতে রাজ্যপাল বাধ্য নয়।এই প্রধান জিনিসটা পার্থ বাবুরা বুঝতে চাইছেন না এটা দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের চাকর-বাকরদের উপাচার্য করেছে। তারা একেবারে তৃণমূল কংগ্রেসের চাকর-বাকর। যারা থার্ড ক্লাস পাস করেছে তারা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যদি চান আমি রেকর্ড দেখিয়ে দেবো। তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জির স্তুতি করলেই তিনি বরাবর জায়গায় পৌঁছে যাবেন। তাই যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যদি বর্তমানে উপাচার্য হন তাতে দোষের কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের একটা নাম নেই যে যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি উপাচার্য হয়েছে। ওনারা রাজ্যপালকে যে সমস্ত কথাবার্তা বলছেন সে সমস্ত শব্দ প্রয়োগ করা যায় না। আসলে উনাদের বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে।”