নিজস্ব সংবাদদাতা: আভিযোগই নিতে চায়নি পুলিশ অথচ যোগীর রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে ধর্ষক সাব্যস্ত করার পর শুক্রবার ওই নেতাকে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিল৷দিল্লির তিস হাজারি আদালত। দু’বছর অবশ্য এই মামলাকে গুরুত্ব দেয়নি বিজেপি। ঘটনার ২বছর পর অনেকটা চাপের মুখে গত এপ্রিল মাসে সেঙ্গারকে দল থেকে বহিস্কৃত করে বিজেপি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেঙ্গারকে দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছিল কয়েকদিন আগে ১৬ডিসেম্বর। শুক্রবার ছিল উন্নাও ধর্ষণ মামলার সাজা ঘোষনা ৷ সিবিআই আদালতে কুলদীপের যাবজ্জীবন কারাবাস চেয়েছিল৷ যদিও আদালতের কাছে সেঙ্গারের আইনজীবীর আর্জি ছিল, ১০ বছরের সাজা৷ কিন্তু অবশেষে আদালত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন তিসহাজারি কোর্টে বিচারক ধর্মেশ শর্মা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দু বছর আগে ২০১৭ সালে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক প্রাক্তন পুলিশ কর্মীর ওই নাবালিকাকে নিজের ফার্মে ডেকে এনে ধর্ষন করার আভিযোগ ওঠে বিধায়ক ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় কয়েকমাস আগে তাকে সপরিবারে খুনের চেষ্টাও হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে লখনউ-এর এক আদালত থেকে তা সরিয়ে এনে ৫ অগস্ট থেকে তার এজলাসে শুনানি চলে ৷ আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৪৫দিনের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ করার৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
২০১৭ সালে যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল তার এখন বয়স ১৯ বছর৷ ধর্ষনের পর আভিযোগই নেয়নি পুলিশ। এরপর ওই বালিকা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে নিজের গায়ে আগুণ লাগিয়ে দেবে বলে হুমকি দেয়, তারপর আদালতের নির্দেশে সেঙ্গারকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ এই সেঙ্গার বিজেপির চারবারের বিধায়ক উত্তরপ্রদেশের বেঙ্গামারু কেন্দ্র থেকে ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গত ২৮ জুলাই ট্রাকের ধাক্কায় ভীষণ ভাবে আহত হন ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েটি ৷ সেদিনের দুর্ঘটনায় মেয়েটির সঙ্গে থাকা গাড়িতে তাঁর দুই পিসির মৃ্ত্যু হয়৷ এর পিছনে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল৷ তারপরে এইমস হাসপাতালে বিশেষ আদালত বসিয়ে ওই মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করা হয় কারণ তাঁকে আহত অবস্থায় লখনউ থেকে এয়ার লিফট করে চিকিৎসার জন্য দিল্লিতে আনা হয়৷তাছাড়া ওই মেয়েটির বাবা কাছে বেআইনি ভাবে বন্দুক রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০১৮সালের ৩ এপ্রিল৷ পরে মৃত্যু হয় তাঁর । কিছুদিন পরেই ধর্ষিতার কাকাকেও একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ওই ধর্ষিতা দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর কাছে চিঠি পাঠান কী ভাবে তাকে সেঙ্গার ভয় দেখাচ্ছে৷ তারপরেই ওই মামলাটি উত্তর প্রদেশের বাইরে স্থানান্তরিত করা হয়। মামলা উত্তরপ্রদেশে থকলে আদৌ সাজা হত কিনা তাই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ধর্ষিতা।