Homeএখন খবরদলীয় প্রশিক্ষন শিবিরে গিয়ে দলেরই যুব নেতার ভোজলির আঘাতে রক্তাক্ত বিজেপির পশ্চিম...

দলীয় প্রশিক্ষন শিবিরে গিয়ে দলেরই যুব নেতার ভোজলির আঘাতে রক্তাক্ত বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবিরে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সভাপতি সমিত দাস। আক্রান্ত হলেন নিজেরই দলের এক যুব নেতার হাতেই যিনি কিছুদিন আগে অবধি দলের যুব সভাপতি ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে দাঁতন শহরে। আক্রমণকারী যুব নেতার ভোজলির আঘাতে বিজেপি সভাপতির মাথায় ও কানে গুরুতর চোট লেগেছে। একাধিক সেলাই পড়েছে তাঁর মাথায়। স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রশিক্ষণ শিবিরে কিছুক্ষন থাকার পর মেদিনীপুর শহরে ফিরে আসেন সমিত। এখানে এসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। ঘটনার পেছনে তৃণমূলের উসকানি ও মদত রয়েছে বলে দাবি করেছেন সমিত দাস। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি বিজেপির জেলা সভাপতির দুর্নীতির ফসল এই আক্রমন। ওই যুব নেতার মাধ্যমে কয়েকজনের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা দিয়েছিলেন সমিত। সেই টাকা ফেরৎ দিতে না পারায় সঙ্কটে পড়েছে ওই যুব নেতা। যার পরিনতিতেই এই আক্রমন।

বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে দাঁতনের রবীন্দ্র ভবনে কেশিয়াড়ি ব্লক ও দাঁতন ১ ব্লকের দলীয় কর্মীদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র ভবনে পৌঁছান বেলা ১টা নাগাদ। নিজের গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের দিকে যাচ্ছিলেন সমিত। তখনই আচমকাই হাতে ভোজলি নিয়ে বিজেপি সভাপতির দাঁতন উত্তর মন্ডল বিজেপি প্রাক্তন যুবমোর্চার সভাপতি উত্তম দাস। উত্তম উপর্যুপরি দাসের মাথায় ভোজলি দিয়ে আঘাত করতে থাকেন এলোপাথাড়ি। সমিত মাথা নামিয়ে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষনে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত পড়ে গেছিল। হতচকিত ভাব কাটিয়ে ছুটে আসে অন্য কর্মীরা ধরে ফেলেন উত্তম দাস কে। চলে উত্তম মধ্যম ধোলাই। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে সমিত দাসের জামা কাপড় তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সাথে সাথেই তাঁকে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁতন গ্রামীন হাসপাতালে। মাথায় চারটি সেলাই করতে হয় রক্তবন্ধ করার জন্য। বিজেপির দাঁতনের নেতা মোসাফ মল্লিক জানিয়েছেন, ” পরিকল্পনা মাফিক হিংসাত্মক আক্রমন। এক সময় তৃনমূল করতেন। আমাদের দলে এসেছিলেন। দল তাঁকে সুযোগ দিয়েছিল কিন্ত তিনি নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেননি তাই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দল যে ঠিক ছিল তা প্রমান হল। ঘটনার পেছনে তৃনমূল যোগ রয়েছে।”

এই একই অভিযোগ করেছেন বিজেপি সভাপতি নিজেও। তিনি বলেছেন, ‘তৃণমূলের উস্কানিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনাটাই তৃণমূলের পরিকল্পনা মাফিক ঘটেছে।” যদিও বিষয়টি বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব বলে দাবি দাঁতনের তৃণমূলের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান। দাঁতন ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রতুল দাস জানিয়েছেন, ” শুনেছি ওই যুব নেতার মাধ্যমে বহু টাকা নিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। টাকা নিয়েছেন চাকরি দেবেন বলে। কিন্তু না হয়েছে চাকরি না ফেরৎ দিয়েছেন টাকা। এখন বিপদে পড়েছেন ওই যুবক। সেই রাগ থেকেই এই কাজ করেছেন বলেই শুনেছি।” ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular