নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছুদিন আগে অবধি ‘প্রেম’ই ধ্যানজ্ঞান ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা ক্ষেত্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষের। সে প্রেম এতটাই অন্ধ আর আবেগ ঘন ছিল যে দলের নব্বই শতাংশ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে গিয়ে খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছিলেন খড়গপুর শহর নেতা তথা এক সময়ে দিলীপ ঘোষের বিধায়ক প্রতিনিধি প্রেমচন্দ্র ঝা কে।
যদিও নিজের কাছে অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খে
য়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। খড়গপুর শহরের নেতা কর্মীদের আশংকা সত্যি করেই জেতা আসন হারাল বিজেপি। মাত্র কয়েকমাস আগেই যে বিধানসভা ক্ষেত্র দিলীপ ঘোষকে প্রায় ৫০হাজার লিড দিয়েছিল সেই বিধানসভায় ২০হাজার ভোটে হারার কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ঘোষ বলেছিলেন , ” নতুন ক্ষমতা পেয়েছি আমরা জয় ধরে রাখার অভিজ্ঞতার অভাব থেকেই এই পরাজয়।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও ঠিক এটাই কারন কিনা সেটা দলের অন্দরে আলোচনা হয়েছে, দিলীপেরও পর্যালোচনায় এসেছে যে প্রার্থী নির্বাচনে বড়সড় ভুল করেছিলেন তিনি, গুরুত্ব দেননি স্থানীয় নেতা কর্মীদের মতামতকে। আর তারই প্রায়শ্চিত্ত করলেন দিলীপ ঘোষ। সাংসদ প্রতিনিধি হিসাবে সরাসরি খারিজ করে দিলেন প্রেমচন্দ্র ঝাকে। অথচ বিধানসভা জেতার পর এই ঝা কেই তিনি তাঁর বিধায়ক প্রতিনিধি করেছিলেন।
শনিবার খড়গপুর শহরে একটি বিশেষ বৈঠকে সাতটি বিধানসভা এলাকার জন্য আগে থেকেই বেছে নেওয়া সাতজন সাংসদ প্রতিনিধিকে নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন সাংসদ। এমনকি সেই মিটিংয়েও আহ্বান করা হয়নি ঝা কে। ওই সাতজন ছাড়া দিলীপ নিজে আর কেবলমাত্র রাজ্য সাধারন সম্পাদক তুষার মুখার্জীই ছিলেন। খবর পেয়ে প্রেমচন্দ্র হাজির হলেও দিলীপের নিরপত্তারক্ষীরা তাঁকে ঢুকতেই দেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিধায়ক পদে হারার পর এই ‘সাংসদ প্রতিনিধি’ পদটি ঝা য়ের মুখ রক্ষার একটি মাত্র জায়গা ছিল। এরজন্য দিল্লির এক নেতার কাছে তদ্বিরও করেছিলেন ঝা। যাতে ওই নেতা দিলীপ ঘোষকে রাজি করাতে পারেন। কিন্তু সে সবে কর্ণপাত করলেন না বিজেপির রাজ্যসভাপতি । বরং খড়গপুর সদর বিধানসভার জন্য বেছে নিলেন ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সংখ্যালঘু নেতা আবদুল মঈনকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একই ভাবে একজন সাংসদ প্রতিনিধির বদলে বিধানসভা অনুযায়ী সাতজন প্রতিনিধি নিয়ে ২০২১য়ের নতুন কৌশল ঠিক করে নিলেন ঘোষ। সাংসদ কোটায় যা কাজ হবে তা ওই প্রতিনিধিদের মারফৎই ঠিক করা হবে। খড়গপুর শহর এলাকা থেকে প্রেমচন্দ্র ঝা য়ের পাকাপাকি নির্বাসন হল কিনা এটাই এখন দেখার।