নিজস্ব সংবাদদাতা: পাঁশকুড়া: ২০২১-র মহারণে প্রশান্ত কিশোর নামিয়েছেন ‘যুবশক্তি’কে। তৃণমূলের নিজস্ব যুব সংগঠনের বাইরেও যুবক-যুবতীদের নিয়ে শুধুমাত্র আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই তৈরি হয়েছে পৃথক সংগঠন। তারই মোকাবিলায় বিজেপি তৈরি করেছে ‘যুবযোদ্ধা’। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সেই যুবযোদ্ধাদের আহ্বান জানালেন আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলকে পঞ্চাশটি আসনের মধ্যে বেঁধে দিতে।
নভেম্বরে রাজ্য সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য বিজেপিকে ২০০ বিধানসভা আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন। এবার সেই টার্গেট পূরণের লক্ষ্যেই নতুন ভোটারদের দলে টানতে বিজেপির যুব মোর্চা কর্মসূচি নিয়েছে “নব মতদাতা ও যুব যোদ্ধা”। শনিবার পাঁশকুড়ায় মেদিনীপুর জোনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে রাজ্য বিজেপির যুব সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানালেন”২০০ টার্গেট’ আমরা অনায়াসেই লাভ করব, সেটা কোনও বড় ব্যাপার নয়, আমাদের টার্গেট তৃণমূল কংগ্রেসকে পঞ্চাশের মধ্যে বেঁধে দেওয়া”
এই ‘নব মতদাতা এবং যুবযোদ্ধা’ শব্দ বন্ধটি আদতে প্রশান্ত কুমার বা পিকের তৈরি করে দেওয়া তৃণমূলেরই ‘যুবশক্তি’কে কমব্যাট করার জন্যই। এই ‘যুবযোদ্ধা’র কাজ হল প্রধানত নতুন ভোটার বা ইয়াং জেলারেশন ভোটারকে বিজেপির দিকে মোটিভেট করা আর এই কাজের জন্য বিজেপি ইতিমধ্যেই বাংলার যুব সমাজের সামনে থাকা কঠিন চ্যালেঞ্জ গুলোকেই সামনে হাজির করছে যার প্রধানতম হল বেকারি এবং কর্মসংস্থান।
বিজেপির ভোট কুশলীরা যেমন রাজ্যকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে জোন ভিত্তিক আলাদা টিম করে কাজ শুরু করেছে তেমনই ‘নব মতদাতা যুব যোদ্ধা’ও এই পাঁচ জোনের আওতায় এক একটি কমিটি তৈরি করে কাজ শুরু করেছে।
এই ৫ জোনের মধ্যে একটি হল হাওড়া হুগলি ও মেদিনীপুর নিয়ে গঠিত হয়েছে মেদিনীপুর জোন। সেই মেদিনীপুর জনের সমস্ত যুব কার্যকর্তাদের নিয়েই শনিবার পাঁশকুড়ার এক বেসরকারি অতিথিশালায় অনুষ্ঠিত হয় দলের সাংগঠনিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্যের যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, শঙ্কুদেব পণ্ডা ,সিন্টু সেনাপতি সহ একাধিক নেতৃত্ব।
সাংগঠনিক সভা শুরুর আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা “ওয়ান ইলেভেন ইয়ুথ” কর্মসূচি নিয়েছে। যে কারণে জেলায় জেলায় এখন সফর চলছে। সমস্ত কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে আমরা নিশ্চিত করতে চাই আগামী নির্বাচনে যতজন নতুন ভোটার আসবে তারা যেন নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শে থাকে।” এরপরই সৌমিত্র বলেন,” আমাদের যে ২০০ টার্গেট দেওয়া হয়েছে তা নিশ্চিত হবে। এই টার্গেট আমাদের কাছে কোন কঠিন সমস্যা নয়। আমরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ৫০ আসনের মধ্যে বেঁধে দেওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছি।”