নিউজ ডেস্ক: বীরভূম তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে সরাসরি খুনের হুমকি দিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন একসময় তৃণমুলের দাপুটে এই নেতা। তখন অবশ্য কেষ্টর সঙ্গে তাঁর গলায় গলায় ভাব সবে মাত্র ছুটছে। অনুব্রত বা কেষ্ট নিজের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে ফেরৎ না দেওয়াতেই তিনি হ হুমকি দেন বলে স্বীকারও করে নেন। সেই হুমকির জেরে জেলেও গিয়েছিলেন বর্তমানের বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ চ্যাটার্জি। এই নেতাকেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন।
অবশ্য শুধু অনুব্রত নন দলেরই এক মহিলা কাউন্সিলর মল্লিকা চংদারকেও হুমকি দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। যাইহোক অনুব্রত কাণ্ডে জেলে যাওয়ার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিজেপি নেতা।
শুক্রবার সেই বিজেপি নেতার গুসকরার বাসভবনে পাঠানো হয় চারজন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ান-সহ ৫ জনকে। যদিও কী কারণে এই নিরাপত্তা, তাঁকেও কোনও হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা কিংবা তিনি নিজে নিরাপত্তার আবেদন জানিয়েছিলেন কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে মুখ খুলতে নারাজ নিত্যানন্দ চ্যাটার্জি।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রদপ্তর থেকে তাকে কেন নিরাপত্তা দেওয়া হল তা তিনি জানেন না।তবে তিনি দলেরপ্রতি কৃতজ্ঞ। দলের কাজে তিনি সর্বদা থাকবেন। একটি সূত্রে জানানো হয়েছে প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মন্ডলের কাছ থেকে প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা করছিলেন তিনি।
এদিন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুরনো দল সম্পর্কে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে তিনি ছিলেন। গুসকরায় দলের সংগঠনকে মজবুত করেছিলেন। তার প্রতিদান তিনি পেয়েছেন। তার ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের একনেতা।
ব্যবসায়ী নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে। নিত্যানন্দবাবুর দুটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি দোনলা বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়। গত ডিসেম্বর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এদিন থেকে তার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা।