নিজস্ব সংবাদদাতা: নাম ঘোষনা হওয়ার কয়েকদিন পরেই এলেন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ, পরে এলেন বটে কিন্তু আত্মবিশ্বাসে ঋজু। বিপক্ষের প্রার্থী যখন প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এমন কী মনোনয়ন পত্র অবধি জমা দিয়েছেন তখন কী তিনি পিছিয়ে পড়লেন কিছুটা? প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি প্রার্থী জানিয়ে দিলেন, ‘চারহাজার ভোটে এগিয়ে থেকে প্রচার শুরু করেছি তাকে ২৪হাজার করতে কত ক্ষন? যদিও এর জন্য কোনও আত্মসন্তুষ্টির কোনও কারন নেই। আমরা শুধু আমাদের অবস্থানটা জানালাম।
প্রায়ক্তন এই আইপিএস জানান, ‘ডেবরার মানুষ দেড় বছর আগে থেকেই আমাকে জিতিয়ে রেখেছেন। তাঁদের সেই আস্থায় লড়াই করছি তাই পিছিয়ে প্রচার শুরু করেছি বলে মনে করিনা।” বুধবার গাড়ি থেকে নেমে কর্মী সভায় পৌঁছাতেই তাঁকে ফুলের বোকে ও মালা দিয়ে বরণ করে নেন কর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই মহিলা কর্মীদের উচ্ছাস ছিল বেশি। ঘোষকে বরণ করে নিয়ে যান তাঁরাই।
ডেবরা বিজেপি নেতারা অবশ্য চার নয় বলছেন ১৪হাজারে এগিয়ে রয়েছে দল। তাঁদের কথায় ২০১৬ সালে এই বিধানসভায় তৃনমূল জয়ী হয়েছিলেন প্রায় ১০হাজার ভোটে। ২০১৯ লোকসভায় এই ডেবরা বিধানসভা কেন্দ্রে দল সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে ৪ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। অর্থাৎ তৃনমূলের চেয়ে ১৪হাজার ভোট বেশি পেতে হয়েছে।
ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বলছিনা, তৃনমূল থেকে আগত নেতাই বলছেন কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে যদি ১লক্ষ ৮ হাজার ভোট লুট না করত তৃনমূল তাহলে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হতেন ভারতী ঘোষ। এরপর আমার কী বলার থাকতে পারে? ” বিজেপি প্রার্থী এই প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে এবার তৃনমূল প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। লড়াই টা কি তাহলে জোরালো হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে ভারতী জানান, ‘তৃনমূলের হয়ে যিনি মাঠে নামছেন তিনি দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর কাটমানির প্রতীক। তিনি আইপিএস ছিলেন নাকি ডব্লিউবিসিএস ছিলেন তাতে কী এসে যায়?”
বুধবার ডেবরা বাজার লাগোয়া একটি অতিথি নিবাসে কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন ভারতী ঘোষ। সেখানেই ঠিক হয় আগামী দিনে কিভাবে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার খড়গপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে মনোনয়ন জমা দিয়েই শুরু করবেন প্রচার। নিবিড় প্রচারের জন্য ডেবরাতেই একটি ভাড়া নিচ্ছেন তিনি এমনটাই জানিয়েছেন দ্য খড়গপুর পোষ্টকে।