জমায়েতে শত শত মানুষ |
নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের কি উত্তপ্ত হওয়ার মুখে জঙ্গলমহল ? গত কয়েক বছর ধরে বারংবার ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহলের ডাকে স্তব্ধ হয়েছে জঙ্গলমহল সহ গোটা রাজ্য। আবারও সেই পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিল সাঁওতাল জনজাতি গোষ্ঠীর এই সংগঠনটি। বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি শোনা গেল কেশপুরে। শিক্ষা, বাসস্থান আর চাষের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে আদিবাসীদের এমনই দাবিতে ফের বিক্ষোভ আদিবাসীদের এই সংগঠনটির । পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল এর নেতারা এদিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন” প্রতিটি সরকারের আমলেই আমরা বঞ্চিত, ২০২০ সালের মধ্যে সমাধান না হলে ২০২১ এ ভোট প্রক্রিয়া বয়কট করবে জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা।”
ডেপুটেশন বিডিও অফিসে |
জঙ্গলমহলের সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকায় অল চিকি হরফে পঠন-পাঠনের দাবি আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের। সেইমতো পরিকাঠামো তৈরীর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলেই দাবি সাঁওতালি ভাষাভাষীর লোকজনদের।তাই সাঁওতালি ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো দাবিতে ২০১৯ সালে বেশ কয়েকবার বড়সড় আদিবাসী আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। বুধবারও পুনরায় একই দাবিতে কেশপুরে বিক্ষোভে সামিল হলো আদিবাসী মানুষেরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আদিবাসী জনজাতির সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল এর কেশপুর বামুনভুই মুলক এর পক্ষ থেকে কয়েক হাজার আদিবাসী লোকজন কেশপুর বাজারের জমায়েত হয়। সমগ্র কেশপুর বাজার পরিক্রমা করে কেশপুর বিডিও অফিসের সামনে হাজির হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতা লক্ষীকান্ত হেমব্রম বলেন-” বাম সরকারের আমলে আদিবাসীরা পুরোপুরি বঞ্চিত ছিল। পরবর্তী সরকারের আমলেও বঞ্চনা রয়েছে। আমরা বহুবার দাবি আদায় করতে গিয়ে শুধু প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ২০২০ সালের মধ্যে সেই দাবি পুরোপুরি না মিটলে ২০২১ এর নির্বাচনে দল নির্বিশেষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে আদিবাসী সমাজ।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিন তারা দাবি করেছেন-আদিবাসীদের জমি যাতে কেউ সহজে দখল নিতে না পারে তার জন্য আইনের কড়াকড়ি করতে হবে। ৫০ শতাংশ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হলে ওই এলাকায় অলচিকি হরফ পূর্ণাঙ্গ পঠন-পাঠনের পরিকাঠামো তৈরি করে দিতে হবে। আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের শংসাপত্র বৃত্তি সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি সরলীকরণ করতে হবে।