ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আনলক ১ এর মাধ্যমে আগামী ১৫ জুন সোমবার থেকে পুনরায় বেলুড় মঠ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার বেলুড় মঠের ভিতরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে এক মহারাজের। ফলে এই পরিস্থিতিতে মঠ খোলা হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে বছর ৭৮ এর সঞ্জীব মহারাজ করোনায় আক্রান্ত। তাকে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন যাবত জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছিলেন মহারাজ। মঠের ভিতরেই এতদিন তাঁর চিকিৎসা চলে কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকা তাঁর শ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় এবং তা ক্রমশ বাড়তে থাকায় মহারাজকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে সেটি পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, যেহেতু মহারাজের বয়স অনেকটাই বেশি ফলে ধীরে ধীরে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত তাঁর ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন না পড়ায় তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়নি তবে শ্বাসকষ্টের জন্য ইতিমধ্যেই অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী সোমবার থেকে বেলুড় মঠ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী মঠের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে পুরো মঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল৷ তবে মঠেরই এক মহারাজের এমন শারীরিক পরিস্থিতিতে আদেও এই মূহুর্তে মঠ খোলা হবে কিনা কিংবা সঞ্জীব মহারাজের সংস্পর্শে আসা মহারাজদের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর আনল ১ এর হাত ধরে সরকারি নির্দেশে গোটা দেশে ইতিমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধর্মস্থান। সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার থেকে খুলে গিয়েছে তারাপিঠ মন্দির। মন্দিরে ঢোকার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্দিরের ভিতর একসাথে ১০ জন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে সোমবার থেকেই ভক্তদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়ার কথা ছিল বেলুড় মঠ। সেখানেও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার। ঢোকার মুখে করতে হবে থার্মাল স্ক্রিনিং। তবে সঞ্জীব মহারাজের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে আদৌ এই মূহুর্তে মঠ খুলবে কিনা তা নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন মঠ কর্তৃপক্ষ।