নিজস্ব সংবাদদাতা: বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো পশ্চিম মেদিনীপুর থানা এলাকার একটি গ্রামে। কী কারনে এই আত্মহত্যা তার রহস্য এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত আসনদা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ২৭ বছরের যুবকের নাম সৌভিক মন্ডল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে লকডাউনের মধ্যেই অত্যন্ত অনাড়ম্বরেই বিয়ে হয়েছিল সৌভিকের। ১৫ দিন আগে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী দাঁতন থানার জেনকাপুর গ্রামের শিলু মন্ডল নামে এক তরুণীর সঙ্গে। সপ্তাহ খানেক আগে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিরাগমনে জেনকাপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল ফিরে আসে তিনদিন আগে। শ্বশুরবাড়িতে কিছু হয়েছিল কিনা জানা যায়নি। রবিবার রাতে খাওয়া দাওয়া করে স্ত্রীর সঙ্গেই রাত কাটিয়েছে সৌভিক।
তেমন কোনোও অস্বাভাবিকতা নজরে আসেনি পরিবারের। বাড়ি থেকে অদুরেই একটি মুদি দোকান ছিল সৌভিকের। সোমবার খুব সকালে স্ত্রীকে দোকান খুলতে হবে বলে চলে যায়। কিছুক্ষন পরে সৌভিকের দাদা কৌশিক দোকানের দিকে যায়। মূল দোকান বন্ধই ছিল। দোকানের পাশেই আরেকটি ঘরে ঢুকেই সৌভিকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় কৌশিক।
সঙ্গে সঙ্গেই সে চিৎকার চেঁচামেচি করলে বাড়ির লোকেরা এবং আশে পাশের লোকেরা ছুটে আসে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করে চিকিৎসকরা। পুলিশ খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহ পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। সোমবারই পরিবারের লোকেরা ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে যায়। এদিন বিকালেই দাহ কাজ শেষ করা হয় সৌভিকের।