নিউজ ডেস্ক: এক যুবক ব্যবসায়ীর মাথা কেটে তা হেলমেটের মধ্যে ভরে রেখে পালালো দুস্কৃতিরা। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়াতে। মুন্ডহীন দেহের পাশ থেকেই হেলমেটের মধ্যেই পাওয়া মাথাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
শুক্রবার সকালে ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত পাওয়ারহাউস সংলগ্ন অঞ্চলে মুন্ডহীন দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।এরপর খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানায়। প্রথমে ভাবা হয়েছিল মাথা কেটে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে আততায়ীর দল। যা সাধারণত শনাক্ত করন আটকাতে খুনিরা করে থাকে। পরে রাস্তার পাশেই ওই যুবকের হেলমেটের ভেতরে মাথাটি দেখা যায়। যা দেখে শিউরে উঠেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তবে দেহ থেকে তার মাথা আলাদা করার পর তা হেলমেটের মধ্যে ভরে দিয়েছিল নাকি হেলমেট পরা অবস্থাতেই তাঁর মাথা আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে বছর চল্লিশের এই ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে খুন করার পর শনাক্তকরন বিলম্বিত করার জন্যই মুন্ডু আলাদা করে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর,মৃত ব্যক্তির নাম অমিত শাহ।সে শিলিগুড়ির ঝংকার মোড় সংলগ্ন গোয়ালাপট্টি এলাকার বাসিন্দা।ফাঁসিদেওয়াতে তার একটি বস্তার গুদাম ছিল। পরিবার সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ওই গুদামে এসেছিলেন। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছিল না। তার মোবাইলও বন্ধ ছিল বলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল পরিবার ।এরপর আজ সকালে এলাকাবাসীরা তার মুন্ডহীন দেহ দেখতে পায়।উল্ল্যেখযোগ্যভাবে তার দেহের পাশেই হেলমেটের মধ্যে কাঁটা মাথাটি পাওয়া যায়।
ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে।কারা এই খুন করল এবং কেন খুন করল তার তদন্তে নেমেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত থেকে অমিতকে কেউ তাড়া করছিল। হঠাৎ করেই রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে পরিবারের লোকেরা খবর পান, ফাঁসিদেওয়া এলাকায় অমিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করেছে পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনার ভয়াবহতা এতোটাই যে ফাঁসিদেওয়া এলাকার মানুষ ঘর থেকে সন্ধ্যায় বেরতে ভয় পাচ্ছেন।পাছে তাদের সাথে না এই ঘটনা ঘটে।এমন নৃশংস ঘটনা লোকালয়ের মতো স্থানে ঘটায় প্রশ্নের মুখে নাগরিক নিরাপত্তা।এলাকাবাসীরা পুলিশি টহলের দাবী জানিয়েছেন।