Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গবন দপ্তরের সক্রিয়তায় ফের পাচারের আগেই উদ্ধার হল বহু মূল্যের কাঠ, আটক...

বন দপ্তরের সক্রিয়তায় ফের পাচারের আগেই উদ্ধার হল বহু মূল্যের কাঠ, আটক ২

অশ্লেষা চৌধুরী: আবারও একবার ফাঁদ পেতে বহু মূল্যবান কাঠ পাচারের আগেই উদ্ধার করল বন দপ্তর। শনিবার ভোর চারটা নাগাদ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিলিগুড়ি শালুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা এই সাফল্য পায়।

জানা গিয়েছে, শনিবার ভোররাতে শালুগাড়া বনদপ্তরের বন আধিকারিক সঞ্জয় দত্তের কাছে খবর আছে একটি গাড়িতে পাচার হচ্ছে প্রচুর কাঠ। সূত্র মারফৎ বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন ডুয়ার্সের ওয়াবাসাবাড়ি থেকে একটি কাঠ বোঝাই ট্রাক বিহারের দিকে যাচ্ছে। ব্যস, খবর পাওয়া মাত্রই টিম তৈরি করে অভিযানে নেমে পড়েন বনকর্মীরা। শিলিগুড়ি শালুগাড়া থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত পথে বনকর্মীরা ওত পেতে বসে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের সত্যতা প্রকাশ পায়। এরপর চোরাই কাঠ বোঝাই ট্রাকের পিছনে তাড়া করে ধরা হয় ট্রাকটি। অভিযানে ট্রাকে থাকা চালক এবং সহকারি চালক দুজনকেই গ্রেফতার করা হয় বনদপ্তরের তরফে। ধৃত ব্যক্তিদের নাম মানব বন্ধন ও বিশ্বজিৎ বর্মন। জেরায় ধৃতরা স্বীকার করে নিয়েছে ওয়াশাবাড়ি থেকে তারা এই কাঠ নিয়ে বিহার যাচ্ছিল।

বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একটা সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছে। যার মাধ্যমে সমস্ত জঙ্গলের কাঠ বিহারে পাচার প্রক্রিয়া চলছে। বনদপ্তরের আধিকারিক সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, আটক হওয়া কাঠের বাজার মূল্য ১০লক্ষ টাকা। ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেকের নাম পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন রেঞ্জার। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। অভিযুক্তদের রবিবার আদালতে পেশ করা হবে।

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে কাঠ পাচারের ঘটনা কিছু নতুন নয়। গত সপ্তাহেই শনিবার মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মী ও এসএসবি ১৭ ব্যাটেলিয়ানের যৌথ অভিযানে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়া চা বাগানের ৫ নং লাইনের এক বাসিন্দার বাড়ী থেকে উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে তিন ক্যুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ। তবে তাদের এই সাফল্য পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। জানা যায়, কিছুদিন ধরেই বনকর্মীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসছিল, চোরা পথে পাচার হচ্ছে বহুমূল্যবান লাল চন্দন কাঠ। সেই খবরেই নড়েচড়ে বসেন তারা, সেইসাথেই পাচারকারীর জন্য ফাঁদও পাতেন তাঁরা। আর তাতেই কুপোকাৎ পাচারকারী। কয়েকদিন আগে লাল চন্দন কাঠের টুকরো দেখাতে আসেন এক পাচারকারী। খদ্দের সেজে সেখানে হাজির ছিলেন বন দফতরের এক কর্মী। কেনার বাহানায় কাঠের টুকরো পরীক্ষা করে দেখে নেন তিনি। তাঁদের আশঙ্কাই সত্যি হয়। দেখা যায় দামী লাল চন্দন কাঠ পাচার হচ্ছে এভাবেই। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় ফের খদ্দের সেজে সেই বনকর্মী হাজির হন বীরপাড়ার ৫ নং লাইনের এক বাড়ীর সামনে। এদিকে পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরতে তৈরি ছিল মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মী ও ফালাকাটা এসএসবি জওয়ানরা। তারপর হাতনাতে চন্দন কাঠ সহ ধরা পড়ে পাচারকারী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রায় সাড়ে তিন ক্যুইন্টাল লাল চন্দন কাঠ। এই পাচার-চক্রের সঙ্গে বড় কোনও হাত থাকতে পারে সন্দেহ করছেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular