ভীষ্মদেব দাশ, পূর্ব মেদিনীপুরঃ বিধায়কের ইন্ধনে বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতি চালাচ্ছেন। আর্থিক অস্বচ্ছতার কারনে কোনও মিটিং ডাকা হয় না। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষরা কিছুই জানতে পারেন না। গত ২বছর আগে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠন হলেও নিয়ম না মেনে, সদস্য, কর্মাধ্যক্ষদের না জানিয়ে খাতায় কলমে সভা হয়। জানানো হয় না কাউকে বলে অভিযোগ তুললেন ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা স্থায়ী পরিবহন সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দেবোপম প্রধান।জেলা শাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে দেওয়া নালিশপত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারফলে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দেবোপম প্রধান লিখিত অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, ২বছরের বেশি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠিত হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আইন মেনে সভা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতা আড়াল করবার জন্যই আইন মানা হচ্ছে না। কর্মাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি স্থায়ী সমিতির অনুমোদন ছাড়া অর্থ ব্যায় হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যদি সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তাহলে তাঁকে জানানো হয়নি কেন? সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার সমস্যার সমাধানের কথা জানালেও কর্নপাত করেন না বিডিও পঙ্কজ কোনার। বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিলেই সভা করেন। মিটিং ছাড়াই বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি হয়। স্থায়ী সমিতির অনুমোদন ছাড়াই অর্থ ব্যায় হচ্ছে।সভাপতি প্রনব মাইতি ও বিডিও পঙ্কজ কোনার সব সিদ্ধান্ত নেন। ইন্ধন জোগান বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি। অর্দ্ধেন্দু মাইতির সহযোগিতায় আর্থিক দুর্ণীতি করছেন সভাপতি প্রনব মাইতি, বিডিও পঙ্কজ কোনার। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দেবোপম প্রধানের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। দীর্ঘদিন বেহাল থাকা ভগবানপুর-১ ব্লকের রাস্তাগুলি বারবার সংস্কারের দাবি জানালেও কর্নপাত করেননি বিডিও, বিধায়ক। গোয়ালাপুকুর থেকে কাঁটাখালি পর্যন্ত রাস্তা ১৯৭৭সাল থেকে মাটি পড়ে রয়েছে। আজও রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। গোয়ালাপুকুর থেকে শিলাখালী পর্যন্ত সেচ দপ্তর নির্মিত রাস্তাও বেহাল। কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এলাকার মানুষরা নরক যন্ত্রনা ভোগ করছেন। কণ্যাশ্রী, যুবশ্রী, সরকারি ত্রাণ, ভাতা, ১০০দিন প্রকল্পের কাজের পাশাপাশি করোনাকালে সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। কোনও সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না তাঁরা। দেবোপম বাবু আরও বলেন, সচিব নিলাদ্রী বাবুকে মিটিং ডাকার কথা বলায় উনি জানালেন মিটিং করার জন্য বিডিওর অনুমতি নেই। বিডিওর রুমেই সব মিটিং সম্পন্ন হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভা গৃহে কর্মাধ্যক্ষদের বসবার কোনও জায়গা নেই। অপরিষ্কার ঘর ও ভাঙা চেয়ার-টেবিল পড়ে রয়েছে। সব ঠিকঠাক করার আবেদন করলেও বিডিও কর্নপাত করেননি। যদিও ভগবানপুর-১ ব্লকের বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, এইসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ওনার সমস্যার জন্য উনি অফিসে আসেন না। মনগড়া কথা বলছেন উনি।এলাকায় কাজ হচ্ছে।যোগাযোগর চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি সভাপতি এবং বিধায়কের সঙ্গে।
বিধায়কের ইন্ধনে বিডিও, সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতি চালাচ্ছেন- বিস্ফোরক পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
589
RELATED ARTICLES