নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতে মাত্র দেড়মাস, তারমধ্যেই নাকি আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমনটাই দাবি এদেশের জীবাণু বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি সেই মত প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই ঢেউ মোকাবিলার। বাদ নেই বিভিন্ন সংগঠনও। নিজের মত করে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারাও। শনিবার এমনই এক প্রস্তুতি শিবির অনুষ্ঠিত হল ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলে।পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাঁকরাইল কেন্দ্রের উৎসাহী সদস্য ও স্থানীয় চিকিৎসক দের সহযোগিতায় কুলটিকরি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় হলো স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনা সচেতনতা শিবির।
শনিবার কুলটিকরি এর বাসস্ট্যান্ডে পথচলতি মানুষদের করোনা সচেতন করার জন্য লিফলেট বিলি ও মাস্ক বিতরণের মধ্য দিয়ে এই শিবির শুরু হয়। বিজ্ঞান মঞ্চের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি সর্বেশ্বর মহাপাত্র মহাশয়ের উদ্যোগে, সাঁকরাইল কেন্দ্রের সম্পাদক সুবীর কুমার মণ্ডল এর পরিচালনায় এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির টিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় চিকিৎসক ড. অরুন গিরি, ড. সত্যব্রত সামন্ত ও আরো কিছু স্থানীয় গ্রামীন চিকিৎসক।
সম্প্রতি রিওয়ার্ড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নামক সংস্থার থেকে পাওয়া থার্মাল গান, পালস অক্সিমিটার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, N95 মাস্ক , গ্লাভস, হেড গিয়ার, সার্জিক্যাল মাস্ক ও স্যানিটাইজার প্রভৃতি নিয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে বিজ্ঞান মঞ্চের পনেরো জনের একটি উৎসাহী যুবকদের স্বেচ্ছাসেবীদল। মূলত এই প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীরাই এদিনের বাজারের পথচলতি সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। এদিন প্রায় ৩০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।
উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর মোকাবিলা , ও আগাম তৃতীয় ঢেউ সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে ও সাবধানতা অবলম্বন করার ধাপ গুলি নিয়ে আলোচনা করেন ড. গিরী ও ড. সামন্ত বাবু। এদিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রিওয়ার্ড সংস্হার অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কর্ণধার কাঞ্চন পট্টনায়েক মহাশয়। এদিন মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ নামক সমাজসেবী সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী মাননীয়া ঝর্ণা আচার্য মহাশয়া বিজ্ঞানমঞ্চের সাঁকরাইল কেন্দ্রের হাতে একটি পালস অক্সিমিটার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে পার্শবর্তী ভ্যানচালক ও শ্রমিক দের সাবান ও সানিটাইজার প্রদান করা হয়। আগামী দিনে এই সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া, বহরাদাঁড়ি, বাকড়া, ডাহিচক, রোহিনী, প্রভৃতি এলাকাতেও এরকম শিবির অনুষ্ঠিত করে এই করোনা মহামারী তে যতটা সম্ভব মানুষের পাশে থাকার উদ্যোগ ও পরিকল্পনার কথা জানান আজকের অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা মাননীয় সর্বেশ্বর মহাপাত্র মহাশয়। সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এলাকার মানুষজীন দের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এদিনের শিবির শেষ হয়।