ওয়েব ডেস্ক : মদন মিত্রের উপর স্টিং অপারেশনের চেষ্টায় অভিযুক্ত ২ বিজেপি কর্মী ও ১ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করলও বালিগঞ্জ থানার পুলিশ। কে ওই তিন যুবক? কি কারনেই বা তারা প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচমকা স্টিং অপারেশন চালাতে গেল? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট না হলেও তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃত ৩ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানা যায়নি। তবে ওই ৩ যুবক গ্রেফতারের পর তাদের পরিবারের লোকজন ওই ৩ যুবককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মদন মিত্রের কাছে অনুরোধ জানান।
জানা গিয়েছে, ধৃত তিন যুবক অঙ্কন দত্ত, সঞ্জয় চক্রবর্তী, মৃণাল মুখোপাধ্যায়। এরা প্রত্যেকেই বেলঘরিয়ার বাসিন্দা। এদের মধ্যে অঙ্কন দত্ত প্রেসিডেন্সির বাসিন্দা। কয়েক বছর যাবৎ দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ প্লেসের একটি অটোমোবাইলের অফিসের সাথে যুক্ত রয়েছেন মদন মিত্র। এদিন ওই দুই যুবক মদন মিত্রের সাথে দরকারি কথা বলার নামে অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েন৷ সূত্রের খবর, অফিসের ভিতরে ঢুকে মদন মিত্রের সাথে কথাবার্তা চলাকালীন ওদের মধ্যে একজন কথোপকথনের সম্পূর্ণটা গোপনে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও তুলছিলেন। বিষয়টি আচমকা মদন মিত্রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর নজরে পড়তেই হাতে নাতে তাদের ধরে ফেলা হয়। এরপর মদন মিত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তবে এই ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এই ছবি ও ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেই চেয়েছিলেন ওই ৩ যুবক। কিন্তু সঠিক পরিকল্পনার অভাবে অভিযুক্তরা ধরা পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিক কি উদ্দেশ্যে তারা স্টিং অপারেশন করতে চেয়েছিলেন তা তাদের জেরার পরই পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই তাঁদের মোবাইল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত ৩ যুবকই বিজেপি কর্মী। সুতরাং গোটা ঘটনার পিছনে যে রাজনীতির যোগ রয়েছে তা অস্বীকার করা যায়না। তবে ঠিক কি কাজে মদন মিত্রের অফিসে গিয়েছিলেন ওই ৩ যুবক, যার জন্য স্টিং অপারেশন করতে হল? তবে কি কোনোরকম টাকাপয়সা লেনদেনের উদ্দেশ্যেই তারা গিয়েছিলেন? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই সবই ইতিমধ্যে খতিয়ে দেখছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।