ওয়েব ডেস্ক : ঘড়িতে দুপুর সাড়ে তিনটে! আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো গোটা গ্রাম। শব্দ শুনে প্রথম অবস্থায় স্থানীয়রা মনে করেছিল কারও বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ফেঁটে গিয়েছে, তা থেকেই এমন বিকট শব্দ। কিন্তু বাইরে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের। দেখেন গ্যাস সিলিন্ডার নয়, বরং গ্রামেরই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে৷ বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে এর জেরে ওই শিক্ষাকেন্দ্রের দেওয়াল পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের আটপাড়া গ্রামে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে ধর্মপুর আটপাড়া হাজরাপাড়া শিক্ষাকেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়েছে শৌচাগারের ইটের দেওয়াল। উড়ে গিয়েছে টিনের ছাউনি। ঘটনায় স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরের পর তাঁরা আচমকা প্রচণ্ড জোরে একটা শব্দ শুনতে পান। শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন যে স্কুলের ভিতর কোনোভাবে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু স্কুলের ভিতর ঢুকে দেখেন চারদিকে বারুদের গন্ধ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সুতলি, পোড়া বারুদ।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীদের তরফে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে গলসি থানার পুলিশ পৌঁছে জায়গাটিকে ব্যারিকেড করে দেয়। তবে কিভাবে আচমকা স্কুলের ভিতর বোমা বিস্ফোরণ হল? কিভাবেই বা স্কুলের শৌচাগারে বোমা এল? তবে কি স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে স্কুলের ভিতরে দুষ্কৃতিদের বাড়বাড়ন্ত বেড়েছে? এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে নানা প্রশ্ন। ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি জানিয়েছেন, “শিক্ষাকেন্দ্রের একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে বিস্ফোরণ হয়। পাঁচিল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিস মোতায়েন আছে। আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাবে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের টিম।”