নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ৭-৮ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা হবে৷ ঠিক তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও। একটি সূত্র জানিয়েছে আগামী ১লা মের আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে মে মাস থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে দেশ ব্যাপী সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। কমিশন চাইছে তার আগেই ৫ রাজ্যের নির্বাচন সেরে ফেলতে। উল্লেখ্য ২০২১য়ে শুধু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই ঘোষণা হতে পারে অসম, কেরালা, তামিলনাডু ও পুদুচেরির নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে একই সাথে। কারন এখন বাংলার সাথে বাকি চার রাজ্যেরও ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
কিছুদিন আগেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল-বেঞ্চ৷ রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করেন মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা৷ আসন্ন নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত শুনেন তিনি৷ এছাড়া রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের৷
কমিশনের তরফে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অবাধ এবং রক্তপাতহীন নির্বাচন পরিচালনা যা গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে সম্ভব হয়নি। রক্তপাতহীন তো দুরের কথা প্রাণহানির ঘটনা পর্যন্ত ঠেকানো যায়নি বাংলায়। প্রাকনির্বাচন, নির্বাচন ও নির্বাচনোত্তর হিংসা, বল্গাহীন সংঘর্ষ, রক্তপাত এবং জীবনহানি রোধ করা যায়নি কোনও পর্যায়েই। যে কারনে এবারেও ৭ থেকে ৮ দফার মধ্যে নির্বাচন হতে পারে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হতে পারে ৭ থেকে ৮ দফায়। অসমে নির্বাচন হতে পারে ২ থেকে ৩ দফায়। আর তামিলনাডু, কেরালা ও পুদুচেরিতে ভোট হতে পারে ১ দফায়। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসার যে নজির গত কয়েকটি নিবার্চনে হয়ে আসছে সেদিকে নজর রেখে অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় দ্বিগুন কিংবা তারও বেশি দফায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলেই জানা গেছে।
একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কয়েকটি শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠন যাঁরা ভোট গ্রহণ করেন ১০০শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশনের কাছে দরবার করেছে। সেদিকে নজর রেখেই কমিশন চাইছে সমস্ত স্পর্শকাতর বুথকেই সিসিটিভির আওতায় আনতে পাশাপাশি ব্যবহার করা ভিভিপ্যাড। ১৫ই ফেব্রুয়ারির পরেই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর ১লা মের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ১২ই মের মধ্যেই ফলাফল ঘোষনার লক্ষ্য রাখছে সরকার।