নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে ‘জয়বাংলা’শ্লোগানটি যোগান দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তী কালে যা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান। এদেশে যেমন জয়হিন্দ বাংলাদেশে তাই জয় বাংলা। হালে সেই শব্দের আমদানি করেছেন মমতা ব্যানার্জী। অবশ্য এ শ্লোগান অদ্যন্ত রাজনৈতিক যা কেবলমাত্র তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরাই বলে থাকেন। ২০২১য়ের ভোট বৈতরণী পের হওয়ার আগে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে চাগাড় দেওয়ার মরিয়া প্রচেষ্টা।
যদিও সেই শ্লোগানটিও আর তৃনমূলের এক তরফা রইলনা। এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কেও দেখা গেল জয়বাংলা ধ্বনি দিতে। রবিবার উত্তর ২৪পরগনার অশোকনগরের গ্যাস ও তেল উত্তোলন কেন্দ্রে এসে বাংলাকে ‘সোনার বাংলা’ তৈরীর কথা বলার পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র প্রধানের গলাতেও শোনা গেল ‘জয়বাংলা’ ধ্বনি।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে রাজ্যের প্রথম ও দেশের অষ্টম তেল ও গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্রের সূচনা করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
রাজ্যের মুকুটে অশোকনগরের গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রের মাধ্যমে জুটলো নতুন পালক । একই সঙ্গে ইতিহাসের পাতাতেও নাম উঠল অশোকনগরের।চলতি মাসের ৫ তারিখে থেকে অশোকনগরে এই কেন্দ্র থেকে ট্রাকভর্তি তেল হলদিয়ার শোধনাগারে পাঠানো শুরু হয়েছিল। আর সেখানেই এসেছে অভাবনীয় ফলাফল। একই জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস এবং খনিজ তেল দুই-ই।
এদিন অনুষ্ঠানে এসে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানান এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যে ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে । স্থানীয় বাসিন্দারা কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।অনেক বছর আগেই পৃথিবীর মানচিত্রে জানা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে বিপুল পরিমাণে গ্যাস ও তেলের ভান্ডার রয়েছে । প্রায় ৭০ বছরের দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর অবশেষে সাফল্য পেল ওএনজিসি(ONGC) রাজ্যে এই প্রথম এক জায়গা থেকেই তেল ও গ্যাস পাওয়া যাবে।যা খুবই উন্নত মানের এমনটাই জানান কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান । ওএনজিসির (ONGC)তরফে একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে প্রজেক্ট এর কাজ কর্ম দেখানো হয়।
নিশ্চিত ভাবেই পশ্চিমবাংলা তথা ভারতের ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভবনা নিয়ে এসেছে অশোক নগর। কিন্তু বাংলার সমস্ত সম্ভাবনার সাথে রাজনীতির অনুপান না মেশালে বোধহয় সম্পুর্ন হয়না কিছুই। তাই ‘সোনার বাংলা’ গড়ার রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সাথেই এখানেও মিশে গেল সেই জয়বাংলা শ্লোগানও। শুধু আশঙ্কা একটাই অসীম সম্ভবনাময় এই প্রাকৃতিক সম্পদ শেষ অবধি রাজনীতির বোড়ে না হয়ে পড়ে।