ওয়েব ডেস্ক: ১জুন থেকেই মন্দির মসজিদ গির্জা বা গুরুদুয়ারার মত ধর্ম প্রতিষ্ঠান গুলি খুলে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পরের দিন সেই ঘোষনায় সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। যদিও বেলুড় মঠ বা দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের মত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এখনুই মন্দির খুলছেনা বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলতে শুরুও করেছে। ভক্তদের প্রবল অর্তিতেই তা করতে হচ্ছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষর দাবি। সেরকমই দীর্ঘ ২ মাসের লকডাউন কাটিয়ে সোমবার সকাল থেকেই খোলা হল পূর্ব বর্ধমানের সালানের মা কল্যানেশ্বরী মন্দির।
শতাব্দীরও অধিক প্রাচীন এই মন্দির পূর্ব বর্ধমানে সালানে অবস্থিত হলেও এই মন্দির লাগোয়া বিহারের ঝাড়খণ্ড জেলা। কথিত আছে নিঃসন্তান কোনো মা এই মন্দিরে মা কল্যানেশ্বরীর কাছে মানত করলেই তার মনস্কামনা পূরণ করেন মা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সারা বছরই এই মন্দিরে ভক্তদের সমাগম থাকে। তবে শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমান বা তার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেই যে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন তা নয়। একই সাথে পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড ও বিহার থেকেও বহু মানুষ সারা বছর মায়ের কাছে আসেন তাদের নানান মনস্কামনা নিয়ে।
লকডাউনে দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ রাখার পর অবশেষে সোমবার সমস্তরকম বিধিনিষেধ মেনে খোলা হয় মায়ের মন্দির। চলছে মায়ের পূজা অর্চনা। ভক্তরা সকলেই মুখে মাক্স পরে প্রবেশ করছেন মন্দিরে, মানা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব। এতদিন পর মন্দির খোলায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন মন্দিরের পুরোহিত থেকে দোকানদার সকলেই। এই প্রসঙ্গে মন্দিরের পুরোহিত জয় মুখার্জী জানান, “লোকডাউনের জন্য সরকারি আদেশ অনুসারে গত ২ মাস মন্দির বন্ধ ছিল, কিন্তু রোজ মায়ের নিত্যপূজা করা হত। সরকারের আদেশ অনুসারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দির খোলা হল।”
মন্দিরের এক দোকানদার পরদেশী মালি জানান, “লকডাউন পর থেকে মন্দির বন্ধ ছিল, মন্দির বন্ধ থাকায় আমাদের সমস্ত দোকান পাট বন্ধ ছিল,খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটছিলো আজ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দির খোলা হল আমার খুব খুশি।” এদিন মায়ের পুজো করতে আসা এক ভক্ত মঙ্গল বাউরি জানান, “লকডাউন পর থেকে মায়ের মন্দির আসতে পারিনি। আমি রোজ পুজো করতে আসতাম। লক ডাউনের জন্য আসা হয়নি। আমি খুব খুশি আজ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মায়ের মন্দিরে পুজো শুরু হল।”