ওয়েব ডেস্ক: বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর অভিযোগে সোমবার দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শাকম্ভারি গ্রুপের অ্যালোকুয়েন্ট স্টিল প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার মূল গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো শ্রমিক। কারখানার মূল গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় যুবকরা৷ এদিন বহিরাগত কোনো শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এর জেরে কারখানার সামনে ব্যাপক অশান্তির শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সালানপুর থানার ইনচার্জ পবিত্র কুমার গাঙ্গুলি ও কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির ইনচার্জ অমরনাথ দাস।
স্থানীয় শ্রমিকদের অভিযোগ, এই কারখানায় দীর্ঘদিন কাজ করেন তারা। একেই করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় সকলের রুজি রোজগার বন্ধ। তার ওপর তাদের কাজে না নিয়ে কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে বহিরাগত শ্রমিক ও ঠিকাদার এনে কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া এই কারখানায় শতাধিক মহিলা শ্রমিক কাজ করেন। দীর্ঘদিন কারখানা কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও তাদের জন্য সামান্য শৌচালয়ের ব্যবস্থাও করা হয়নি। তার ওপর লকডাউনের পর থেকেই স্থানীয় শ্রমিকদের ছাটাই করে বহিরাগত শ্রমিক আনা হচ্ছে। তাদের দাবি কারখানায় আগের মতোই স্থানীয় শ্রমিক ও স্থানীয় ঠিকাদারদের নিয়োগ করতে হবে। তারা বহিরাগতদের কাজ করতে দেবেন না।
এই ঘটনার কথা শ্রমিকদের তরফে এলাকার বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে জানানো হয়। বিধায়ক বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যান। এরপর সালানপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং, শ্রমিকদের সাথে কথা বলে তাদের দাবিদাওয়া শুনে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এই বিষয় নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে স্থানীয় শ্রমিকদের দাবি মানতে হবে। এরপর বিধায়কের আশ্বাসে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
এই প্রসঙ্গে ভোলা সিং বলেন, “স্থানীয় কিছু যুবক কাজের দাবিতে আজ কারখানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তারা আমাদের বিধায়ককে এই বিক্ষোভের কথা জানায়। বিধায়কের নির্দেশে আমি আসি এবং তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাকে জানিয়েছে যে বহিরাগত শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে কর্মরত ঠিকাদাররা বহিরাগত, স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছে না। তাছাড়া স্থানীয় কিছু শ্রমিকে কাজ থেকে বসানো হয়েছে। এই সব অভিযোগ তারা আমার কাছে করেন। আমি এই সব কথা তাদের সামনে কারখানার ম্যানেজমেন্ট সাথে কথা বলি তাকে জানাই অবিলম্বে বিধায়কের সাথে পরামর্শ করে তাদের সমস্ত দাবি মানতে হবে।”
এই প্রসঙ্গে শাকম্ভরী গ্রুপের হেড এইচ.আর জানান মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় কিছু যুবক কাজের দাবির জন্য আজ বিক্ষোভ দেখায় কারখানার গেটের সামনে। তাদের মূল দাবি, তাদের কাজে নিতে হবে এবং স্থানীয় ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। এই বিষয়ে এলাকার বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে একটা সিদ্ধান্ত করা হবে খুব তাড়াতাড়ি। কারখানার মধ্যে কিছু স্থানীয় যুবক কর্মরত রয়েছেন। নিশ্চিত রূপে আলোচনার মাধ্যমে তাদের কাজের দাবি মানা হবে।”