নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটের আগেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খড়গপুর শহরে প্রবেশের মুখেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হল এক দুস্কৃতি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের সেই দক্ষিণ প্রবেশ মুখে বারো বেটিয়ার কাছে যেখান থেকে কিছুদিন আগেই কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল নাকা তল্লাশিতে কর্মরত জওয়ানরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত যুবকের নাম ফকির নায়ক। বাড়ি নিমপুরা এলাকার হরিজন বস্তিতে। তার কাছ থেকে সেভেন এম এম ইম্প্রভাইজ পিস্তল উদ্ধার করেছে সঙ্গে ২রাউন্ড তাজা কার্তুজ।
খড়গপুর শহর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় নিয়ম করেই খড়গপুর শহরের মুখে নাকা তল্লাশি জারি রয়েছে। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অন্তর্গত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) জওয়ানদের সঙ্গে খড়গপুর শহর পুলিশ যৌথভাবে নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল বারোবেটিয়া-কৌশল্যার মাঝামাঝি। বেলা ১১.৩৫নাগাদ ওই জওয়ানরা বেনাপুরের দিক থেকে আসা ২৮ বছরের ফকিরকে দাঁড় করায়। এরপর তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্র সহ গুলি উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে ফকির যে মোটর বাইকটি ব্যবহার করেছিল সেটি নম্বর বিহীন ছিল। কোনোও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সে। ফলে সমস্ত কিছু আটক করার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবককে। বিএসএফের পক্ষে এই তল্লাশিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আধিকারিক জগৎপতি মাইতি অন্যদিকে খড়গপুর শহর পুলিশের দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাব ইন্সপেক্টর চঞ্চল সিংহ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফকির জানিয়েছে যে সে কেশিয়াড়ী থেকে বেলদা হয়ে ৬০নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে খড়গপুরে আসছিল কিন্তু এই বক্তব্য কতটা সত্যি তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কারন গত প্রায় ১মাস ধরেই এই রাস্তায় নাকা চেকিং হচ্ছে, মাঝে মধ্যে তল্লাশি চালানো হচ্ছে জাতীয় সড়কেও।
খড়গপুর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “কেশিয়াড়ী থেকে সালুয়া হয়ে বা আরও গ্রামীন রাস্তা ব্যবহার করে নিমপুরা যাওয়া যায় সেখানে এই ব্যক্তি এত ঘুরে ঝুঁকির পথ ব্যবহার করতে যাবে কেন? আমাদের মনে হচ্ছে কিছু আড়াল করছে ওই যুবক। আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আমাদের ধারণা আশেপাশের কোনও এলাকা থেকেই সে এই অস্ত্র সংগ্ৰহ করে শহরে ঢুকছিল যে কারনে তার কাছে বিকল্প কোনও রাস্তা ছিলনা। এখন প্রশ্ন হল কোন জায়গা থেকে এবং কার কাছ থেকে সে এই অস্ত্র নিয়ে আসছিল? সেটাই খুঁজছি আমরা। আগামী শনিবার আদালতে পেশ করে ওকে প্রয়োজনে হেফাজতে নেব আমরা। ”
ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি একটি চুরির মামলাও দায়ের করা হয়েছে কারন পুলিশের মনে হয়েছে ফকিরের কাছ থেকে পাওয়া মোটরবাইকটিও কোনও জায়গা থেকে চুরি করা। পুলিশ খতিয়ে দেখছে নির্বাচনের প্রাক্কালে খড়গপুর শহরে অথবা গ্রামীন অংশে সন্ত্রাস তৈরির লক্ষ্যে ওই অস্ত্র আনা হচ্ছিল কিনা কারন আগামীকালই খড়গপুর গ্রামীনের নির্বাচন যার বেশ কিছুটা অংশই রয়েছে ফকিরের নিমপুরার বাড়ি লাগোয়া। অন্যদিকে ১ এপ্রিল খড়গপুর শহরের নির্বাচন।