Homeএখন খবরতিন রাত্রি না পের হতেই খড়গপুর রেল হাসপাতালে ফের ধাক্কা করোনার, আক্রান্ত...

তিন রাত্রি না পের হতেই খড়গপুর রেল হাসপাতালে ফের ধাক্কা করোনার, আক্রান্ত আরেক চিকিৎসক, প্রসূতি বিভাগ বন্ধই করে দিল রেল

নিজস্ব সংবাদদাতা: ৭২ ঘন্টা সময় নিলনা তার কয়েক ঘন্টা আগেই ফের দুঃসংবাদ এল খড়গপুর রেলের জোনাল বা মেন হাসপাতালে। আক্রান্ত হয়েছেন আরেক চিকিৎসক। ঘটনাক্রমে ইনিও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আর সেই কারনে চরম সঙ্কট নেমে এসেছে রেল হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। সোমবার জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর প্রদত্ত আক্রান্তের তালিকা অনুযায়ী এবার আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪বছর বয়সী চিকিৎসক ডক্টর পার্বতী পট্টনায়ক। রেল হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিক সাম্মানিকে কর্মরতা ডক্টর পট্টনায়ক রোগিনীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় বলেই জানা গেছে। উল্লেখ্য

তিন দিন আগেই ২১আগষ্ট করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হন রেলের প্রসূতি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শুভেন্দু পাল চৌধুরী। এরপরই ২২তারিখ নিজের নমুনা প্রদান করেন ডক্টর পট্ট নায়ক। যেহেতু চিকিৎসক পাল চৌধুরীর সঙ্গেই একই বিভাগে কাজ করতেন তাই কোনও ঝুঁকি নেননি ডক্টর পার্বতী। সোমবার অর্থাৎ ২৪তারিখ রাত্রেজানা যায় তিনিও আক্রান্ত। নমুনা দেওয়ার পরই হোম আইসলেশনে চলে গেছিলেন চিকিৎসক এবার পুরোপুরি অন্তরীণ হলেন নিজের রেল আবাসনে।

উল্লেখ্য চিকিৎসক শুভেন্দু পাল চৌধুরী আক্রান্ত হওয়ার পর পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেলের প্রসূতি বিভাগ। বলা হয়েছিল জরুরি ক্ষেত্রে রেল প্রসূতিদের নিজস্ব আ্যম্বুলেন্স করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেবে ভর্তির জন্য। এবার প্রসূতিদের জন্য বহির্বিভাগেও সঙ্কট দেখা দিল। মাতৃত্বকালীন সাধারন পরীক্ষা নিরীক্ষা, চেক আপ ইত্যাদিও বন্ধ করে দিতে হবে বলেই মনে করছে রেল।

এই নিয়ে এখনও অবধি রেলের মেন হাসপাতালের ৫জন চিকিৎসক আক্রান্ত হলেন। আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অরবিন্দ কুমার জয়সওয়াল। পরপরই আক্রান্ত হন জরুরি বিভাগের এক মহিলা চিকিৎসক ও পরে একজন শিক্ষার্থী চিকিৎসক। তারপর দীর্ঘ বিরতির পর আক্রান্ত হন ডক্টর পাল চৌধুরী এবং সোমবার চিকিৎসক পট্টনায়ক।

সোমবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের কোনও রিপোর্ট আসেনি। তবে রেলের দেওয়া নমুনা থেকে চিকিৎসক ছাড়াও আরও চারজন পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে তিনজনই গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা। বাকি একজন রেলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট হোস্টেলের। এদিকে একের পর চিকিৎসকদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রীতিমত দুশচিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ। রেলের ওয়ার্কশপ এলাকা থেকেও আক্রান্তের হার বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরাই আক্রান্ত হয়ে গেলে রেলের স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রাখা যাবে কী করে সেটাই এখন ভাবনার।

RELATED ARTICLES

Most Popular