নিউজ ডেস্ক: কলকাতা শহরে ফের গ্রেপ্তার ভুয়ো সরকারি আধিকারিক। বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার নীল বাতি লাগানো বিলাসবহুল গাড়ি। ধৃত পার্কস্ট্রিটের বাসিন্দা মহম্মদ আসিফুল হক। ধৃত ওই যুবককে জেরা করছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। বুধবারই তাকে আদালতে তোলা হয়।
মঙ্গলবার রাতে বেনিয়াপুকুরের দিকে রাস্তায় নাকা তল্লাশি চালাচ্ছিল ট্রাফিক পুলিশ। সেই সময় ওই গাড়িটি বেনিয়াপুকুরের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়িটি দাঁড় করানো হয়। গাড়িটির গায়ে ভিআইপি লেখা ছিল। এছাড়াও সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্সের একটি বোর্ডও লাগানো ছিল। গাড়ির ভিতরে থাকা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন আধিকারিকরা। প্রথমে সে নিজেকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়।
কিছুক্ষণের মধ্যেই বয়ান বদল করে। জানায় সে নারকোটিক সেলের আধিকারিক। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হয়। অভিযোগ, কোনওরকম পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি যুবক। এরপর বেনিয়াপুকুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। বিলাসবহুল গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। ভুয়ো আধিকারিক পরিচয় দিয়ে কোন কোনও কাজ সে করে বেরিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী দল।
সম্প্রতি কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে চলা ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের পর্দাফাঁস হয়। এই ঘটনায় দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকেও নীল বাতি লাগানো গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য পায়। নিজেকে IAS অফিসার পরিচয় দিয়ে একাধিক আর্থিক জালিয়াতির সঙ্গে দেবাঞ্জন জড়িয়ে পড়েছিল বলেই এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনীতির রং। চলছে শাসক-বিরোধী অভিযোগ-পালটা অভিযোগ।
এই ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে এসআইটি। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের নায়ক দেবাঞ্জনকে ‘জঙ্গিদের থেকেও ভয়ংকর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। যদিও দেবাঞ্জনের আইনজীবীর দাবি, সে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।